সিটিনিউজ ডেস্ক:: মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবে ইউনিসেফ (ইউনাইটেড নেশন্স ইন্টারন্যাশনাল চিলড্রেনস ইর্মাজেন্সি ফান্ড)। এ অর্থে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১০ হাজার শৌচাগার (ল্যাট্রিন) নির্মাণ করা হবে।
এজন্য বুধবার সচিবালয়ে ইউনিসেফের সঙ্গে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি কর্মপরিকল্পনা স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যুগ্ম-সচিব হাবিবুল কবির চৌধুরী ও ইউনিসেফের পক্ষে কান্ট্রি ডিরেক্টর এডওয়ার্ড বিগবেদার স্বাক্ষর করেন।
এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া ও সচিব মো. শাহ কামালও উপস্থিত ছিলেন।
আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এসব ল্যাট্রিনের নির্মাণ কাজ শেষ হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের যেসব নাগরিক বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের আমরা একটি জায়গায় আনার ব্যবস্থা করছি।
তিনি বলেন, কুতুপালং ছাড়া আরও ২৩টি ক্যাম্প রয়েছে। দুটি ক্যাম্প থেকে ইতোমধ্যে আমরা ৭ থেকে ৮ হাজার পরিবারকে সরিয়ে কুতুপালং ক্যাম্পে আনতে সক্ষম হয়েছি। বান্দরবান থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের সবাইকে আমরা এক জায়গায় আনার উদ্যোগ নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। শেড থেকে শুরু করে রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশন ইত্যাদি কাজের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে পারব।
মন্ত্রী বলেন বৃষ্টি এবং প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে লোক আসায় কাজের গতিও বাড়িয়ে দিতে হচ্ছে। এ কারণে কাজ শেষ করতে হয়তো আরও ২ থেকে ৫ দিন লাগবে। আর সবাইকে এক জায়গায় আনতে এই মাসটা লেগে যেতে পারে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী বলেন, সেখানে (কুতুপালং ক্যাম্পে) ৩৫ থেকে ৪০ হাজার ল্যাট্রিন প্রয়োজন, আমরা ইতোমধ্যে ৭ হাজার ৮৪৯টি ল্যাট্রিন স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। ইউনিসেফ আমাদের ১১ কোটি ৮০ টাকা ব্যয় করে ১০ হাজার ল্যাট্রিন করে দেবে বলে কথা দিয়েছে। বাকিগুলোও তারা অন্যান্য সংস্থার সহায়তায় করে দেবে।
প্রতিটি ল্যাট্রিন নির্মাণে ১১ হাজার ৮০০ টাকা করে ব্যয় হবে জানিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব বলেন, প্রতিটি ব্লকে নারী ও পুরুষদের জন্য পাঁচটি করে আলাদা ল্যাট্রিন নির্মাণ করা হবে। এমন মোট ব্লক হবে ২ হাজার। আর সেজন্য মোট ব্যয় ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবে ইউনিসেফ। এগুলো নির্মাণ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।