কারবালা যুদ্ধ ছিল মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম

0

নিজস্ব প্রতিবেদক:: চন্দনাইশ উপজেলার বরকল ২নং ওয়ার্ড গাউসিয়া কমিটির উদ্যোগে শোহাদায়ে কারবালার স্মরণে শাহাদাতে কারবালা মাহফিল ও আওলাদে রাসূল (দ.), গাউসে জামান আউলাদে রাসূল (দ.) আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) এর ওরশ মোবারক গত ২১ অক্টোবর শনিবার বাদে আছর উত্তর বরকল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার দাওয়াতে খায়ের সম্পাদক মাওলানা ক্বারী মুহাম্মদ ফেরদৌসুল আলম খান আলকাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার। জি.এম. শাহাদত হোসাইন মানিক ও খান্দকার এ.এম রাশেদের যৌথ সঞ্চলনায় মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ড কমিটির সাধারণ সম্পাদক গাজী মুহাম্মদ জাহেদুল আলম।

মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতেয়ার বলেন, আহলে বাইতে রাসূল (দ.) এর প্রতি মুহব্বত, মুসলমানদের ঈমানের আলামত। ইমাম হোসাইন (রাঃ) ৬১ হিজরিতে কারবালার জমিনে শাহাদাত বরণ করে মুসলমানদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন অন্যায়-অবিচারে কখনো মাথানত করা যাবে না। প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে সত্যের পথে অবিচল থাকতে হবে। কারবালার যুদ্ধ ছিল অন্যায়-অসত্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম। ইয়াজিদি স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ইমাম হোসাইনের (রা.) নেতৃত্বে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম। যে সংগ্রাম-সংঘাতে সেদিন আদর্শিকভাবে হেরে গিয়েছিল পাপিষ্ট ইয়াজিদ। জনগণ ছিল ইমাম হোসাইনের (রা.) পক্ষে এবং সত্য ও ন্যায় ভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠার পক্ষে আহলে বায়তে রাসূলের (দ.) প্রতি আস্থাশীল। জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাতন্ত্র কায়েম, মানবাধিকার দলন, মদ-সুদ-জুয়া ব্যভিচারকে বৈধ ঘোষণা ইত্যাদি দুষ্কর্মের জন্য ইয়াজিদ যুগে যুগে ধিক্কারের পাত্র হয়ে আছে। আজ অন্যায় ভাবে বিশ্বব্যাপি মুসলিম নিধন চলছে। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিম গণহত্যা তারই ধারাবাহিকতা। এ অন্যায় রুখতে ও মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্ব মুসলিমদের ঐক্য গড়তে হবে।

তিনি আরও বলেন, এদেশে ইসলামের শান্তির দর্শন প্রচারে এবং দ্বীনি শিক্ষা বিস্তারে আওলাদে রাসূল আল্লামা হাফেজ ক্বারী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্ (রহ.) যুগান্তকারী সংস্কারকের ভূমিকা রেখেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের কর্মীরা বর্তমানে দেশ ব্যাপী মাযহাব মিল্লাতের খেদমত আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন। দেশের শান্তিকামী সাধারণ মুসলমানদেরকে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসলামের অবিকৃত রূপরেখা আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আতের কর্মকাণ্ডে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংগঠক ও রাজনীতিবিদ মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন। বিশেষ আলোচক ছিলেন, মাওলানা হাফেজ আবুন নুর মুহাম্মদ হাস্সান নুরী। উপস্থিত ছিলেন, অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী মুহাম্মদ ইকবাল তাহেরী, আলহাজ্ব মুহাম্মদ ফয়েজ আহমদ তালুকদার, মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন আলকাদেরী, মাওলানা মাহবুবুল আলম তৈয়্যবী, মাওলানা মুহাম্মদ মফিজুল্লাহ আলকাদেরী, মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন খান, শাহাজাদা মুহাম্মদ কিবরিয়া হোসেন আজম, মুহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী, মুহাম্মদ কায়কোবাদ, সাংবাদিক মুহাম্মদ গোলাম সরওয়ার, মাওলানা আব্দুল মতিন, মাওলানা আবু হানিফ, মাওলানা হাফেজ আলাউদ্দিন, মাওলানা মুহাম্মদ বাবর, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, মাওলানা মুহাম্মদ শরফুদ্দীন নিজামী, হাফেজ মুহাম্মদ আনিসুর রহমান, মুহাম্মদ রাসেল উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ আব্দুল মালেক, মাওলানা হাফেজ মুহাম্মদ মঈনুদ্দীন খান কাদেরী, মুহাম্মদ আব্দুল মুবিন, মুহাম্মদ মারুফুল ইসলাম, মুহাম্মদ খোরশেদুল আলম চৌধুরী, মুহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, হাফেজ মুহাম্মদ সৈয়দ নুর, মুহাম্মদ সাইফুদ্দীন তালুকদার প্রমুখ।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.