জনকণ্ঠের দুই সম্পাদককে একদিনের সাজা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা

0

সিটিনিউজবিডি : বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীর মামলার রায় নিয়ে আগাম মন্তব্য করে  কলাম প্রকাশ করায় দৈনিক জনকণ্ঠের সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ ও নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়কে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তির আদেশে এই রায় দেয়।

এর আগে গত ১০ আগস্ট রুলের শুনানি শেষ করে বৃহস্পতিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছিল আপিল বিভাগ।

বিচার বিভাগ নিয়ে ‘কুৎসা রটনামূলক’ উপসম্পাদকীয় প্রকাশের ব্যাখ্যা চেয়ে গত ২৯ জুলাই জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক এবং নির্বাহী সম্পাদকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল দেয় আপিল বিভাগ।

এরপর তাদের উপস্থিতিতে রুলের শুনানি শুরু হয়। জনকণ্ঠের পক্ষে আইনজীবী সালাউদ্দিন দোলন তিনটি আবেদন দাখিল করেন।

এর মধ্যে প্রথম আবেদনটি ছিল প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে আপিল বিভাগের বেঞ্চ পুনর্গঠন করে রুল শুনানি করা। শুনানি শেষে এ আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত।

এরপর রুলের শুনানি শুরু হয়। তবে বেলা সাড়ে ১১টায় বিরতির পর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই হিয়ারিংটি আমরা লার্জার বেঞ্চে করব।’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘এখানে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ইনটেগ্রিটির প্রশ্ন জড়িত। বিচার বিভাগের ইনটেগ্রিটি কাচের দেয়ালের মতো নয়। যে একটি ইট ঠুকে মারলে সেটা ঝনঝন করে পড়ে যাবে। এ বিবেচনায় আমরা এটা লার্জার বেঞ্চে শুনব।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ১৬ জুলাই ‘সাকার পরিবারের তৎপরতা। পালাবার পথ কমে গেছে’ শিরোনামে একটি কলাম প্রকাশ করে দৈনিক জনকণ্ঠ। এর লেখক পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়।

এ কলামে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে ২৯ জুলাই তাদের তলব করে আপিল বিভাগ।

জনকণ্ঠের ওই কলামের বলা হয়, ‘৭১’র অন্যতম নৃশংস খুনী সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী। নিষ্পাপ বাঙালি রক্তে যে গাদ্দারগুলো সব থেকে বেশি হোলি খেলেছিল এই সাকা তাদের একজন। এই যুদ্ধাপরাধীর আপিল বিভাগের রায় ২৯ জুলাই। পিতা মুজিব! তোমার কন্যাকে এখানেও ক্রশে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। তাই যদি না হয়, তাহলে কিভাবে যারা বিচার করছেন সেই বিচারকদের একজনের সঙ্গে গিয়ে দেখা করে সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরীর পরিবারের লোকেরা? তারা কোন পথে বিচারকের কাছে ঢোকে, আইএসআই ও উলফা পথে না অন্য পথে?’

নিবন্ধে আরো বলা হয়, ‘ভিকটিমের পরিবারের লোকদেরকে কি কখনো কোনো বিচারপতি সাক্ষাৎ দেয়। বিচারকের এথিকসে পড়ে! কেন শেখ হাসিনার সরকারকে কোনো কোনো বিচারপতির এ মুহূর্তের বিদেশ সফর ঠেকাতে ব্যস্ত হতে হয়। যে সফরের উদ্যোক্তা জামায়াত-বিএনপির অর্গানাইজেশান। কেন বিতর্কিত ব্যবসায়ী আগে গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। কী ঘটতে যাচ্ছে সেখানে। ক্যামেরনই পরোক্ষভাবে বলছেন সকল সন্ত্রাসীর একটি অভয়ারণ্য হয়েছে লন্ডন।’

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.