সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা পটিয়ার পৌর এলাকায়

0

সুজিত দত্ত,পটিয়া :: চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার সুচক্রদন্ডী এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া শ্রীমতি মরা খালটি  অবৈধ দখলের কারণে সংকুচিত ও ভরাট হয়ে যাওয়ায় পুরো এলাকা সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হয়।

ফলে বৃহত্তর এলাকার লক্ষাধিক মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সহজিকরণের লক্ষ্যে খালটি খননের জন্য সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।

জানা যায়, পটিয়া পৌর সদরের ৯নং ওয়ার্ড গোবিন্দারখীল ও ৩নং ওয়ার্ড পশ্চিম গোবিন্দারখীল এবং ২নং ওয়ার্ড সুচক্রদন্ডী এলাকা দিয়ে শ্রীমতির মরা খালটি চাঁনখালী খালে মিশেছে। এটি এক সময় খরস্রোতা খাল ছিল। প্রতিনিয়ত এ খাল দিয়ে জোয়ার-ভাটার পানি আসতো। এমনটি নৌকাও চলতো।

আর এর পানি দিয়ে খালের উভয় পাড়ের প্রায় কয়েক হাজার একর জমিতে বিভিন্ন মৌসুমে চাষাবাদ হতো। খালটি দিয়ে যুগ যুগ ধরে হাইদগাঁও ও কেলিশহর ইউনিয়নের বৃহত্তর পাহাড়ী এলাকার বৃষ্টির ঢলের পানি এ খালের নিম্নাঞ্ছল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে আসে।

কিন্তু খালটি ৯নং ওয়ার্ড এলাকার সূর্যত খান বাড়ী, আমির ভান্ডারের উত্তরাংশ এবং সুচক্রদন্ডী ২নং ওয়ার্ডের মজলুম জননেতা জনাব আলী ফকিরের বাড়ীর দক্ষিণাংশে প্রায় পৌনে এক কিলোমিটার এলাকা খালের পানিতে বয়ে আসা পলিতে ভরাট হয়ে জমিতে পরিণত হয়।

ফলে এ এলাকার বৃষ্টি পাতের পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ায় এ এলাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এছাড়াও শুষ্ক মৌসুমে পানি শূণ্যতার কারণে শত শত একর জমিতে পূর্বের ন্যায় তেমন চাষাবাদও হয়না।

এলাকাবাসী অবিলম্বে এটি সংস্কারের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা সহজিকরণ ও শুষ্ক মৌসুমে অনাবাদি জমিগুলোকে চাষাবাদের আওতায় আনার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পৌর কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাখাওয়াত হোসেন সানু বলেন, খাল জনগণের প্রয়োজনে ব্যবহ্রত হয়। তাই ব্রিজ থেকে যে অংশটুকু ভরাট হয়ে গেছে তা এলাকাবাসীর সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে খননের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানাচ্ছি।

পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকী বলেন, এ খালটিকে আবার বহমান খালে পরিণত করতে আমরা পটিয়ার সাংসদের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। যা হলে এখানে এক মৌসুমি জমিগুলোতে প্রতিটি মৌসুমেই বিভিন্ন ফলের চাষাবাদ করা যাবে।

পটিয়া পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা এ খাল খননের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে পত্রের মাধ্যমে সামগ্রিক অবস্থা অবহিত করেছি। পটিয়ার সাংসদ আলহাজ¦ সামশুল হক চৌধুরীও আমাদেরকে খালটি খননের ব্যাপারে আশ্বাস  দিয়েছেন। আমরা আশাবাদী এটি খনন হলে পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা চিরতরে নিরসন হবে।

এছাড়াও পটিয়া থানার মোড় থেকে তালতলাচৌকি এবং তালতলাচৌকি থেকে মুন্সেফ বাজার পর্যন্ত বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে যে দৃষ্টিনন্দন ড্রেনেজ প্রকল্পের কাজ শুরু হচ্ছে তার সুফল ভোগ করতে হলে এ খাল খনন অতীব জরুরী। আমি এব্য্যাপারে স্থানীয় অধিবাসীদের সহযোগিতা কামনা করি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.