হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনবে সরকার: হানিফ

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: ফেনীতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলার জন্য বিএনপিকে দায়ী করে এই ঘটনায় জড়িতদের সরকার শাস্তি দেবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।

এই হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন এবং ফেনী বিএনপির এক নেতার মোবাইল কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, বিএনপি সব সময় চক্রান্ত করে। এবারও তাই করেছে।

সোমবার সকালে রাজধানীতে বিত্তহীন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যেবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে হানিফ এসব কথা বলেন। এনাম-আনার জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন এই আলোচনার আয়োজন করে।

গত শনিবার কক্সবাজার সফরে রওয়ানা হওয়া বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে হামলা হয় ফেনীতে। হামলাকারীরা বহরে থাকা সংবাদকর্মীদের একাধিক গাড়ির কাঁচ ভেঙে দেয়। তবে অক্ষত থাকে বিএনপি চেয়ারপারসন ও অন্যান্য নেতাদের বহনকারী সব গাড়ি।

এই ঘটনার জন্য বিএনপি দায়ী করেছে আওয়ামী লীগকে। তবে ক্ষমতাসীন দল বলছে, তারা নয়, বিএনপির লোকেরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যেই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি সভাপতি ও ফেনী বিএনপির এক নেতার মধ্যে কথোপকথনের রেকর্ড প্রকাশ হয়।

এই রেকর্ডে শোনা যায়, শাহাদাৎ ফেনী বিএনপির ওই নেতাকে বলছেন, খালেদা জিয়ার গাড়িতে যেন কোনো ঢিল না পরে। কেবল গণমাধ্যম কর্মীদের গাড়িতে হামলার নিশ্চয়তা দেন ফেনী বিএনপির ওই নেতা। আবার এই ঘটনায় টাকার বিনিময়ে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে আসার কথাও বলা হয় কথোপকথনে। তবে এই কথোপকথনের বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বক্তব্য আসেনি।

হানিফ বলেন, ‘সরকার এসব দুষ্কৃতিকারীদের (খালেদার বহরে হামলাকারী) খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনবে। কারা এর সঙ্গে জড়িত, তা আমরা দেখতে চাই। কারা এ ঘটনা ঘটিয়ে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করার চেষ্টা করেছেন তাও আমরা জানতে চাই। এমন ঘটনা ঘটিয়ে কারা রাজনৈতিক অঙ্গন ঘোলা করতে চাই। তা আমাদের জানা প্রয়োজন।’

‘প্রমাণ হয়েছে দলটি সবসময়ই ষড়যন্ত্র করে’-এমন মন্তব্য করে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়ার এ যাত্রায় যাতে কোন ধরণের বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় এবং তাদের সহায়তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিষ্কার নির্দেশ ছিলো। এখানে আমাদের নেতাকর্মীদের মাথাব্যাথার কিছু নেই। তারা কেন যাবেন? তাদের এখানে যাওয়ার সুযোগ নেই।’

খালেদা জিয়ার এই সফর নিয়ে কটাক্ষও করেন আওয়ামী লীগ নেতা। বলেন, ‘আগস্ট মাসে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসছেন। এ তিনমাস ধরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সরকারের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া হলো, ভরণপোশন দেয়া হচ্ছে। এখন তাদের নিবন্ধন করা হচ্ছে। সব কিছু পর যখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি এসেছে তখন তিনি (খালেদা জিয়া) রোহিঙ্গাদের প্রতি দরদ দেখাতে কক্সবাজার যাচ্ছেন।’

‘তিনি (খালেদা জিয়া) যদি মানবতার জন্য সেখানে যেতেন, তাহলে তিনি বিমানে গিয়ে ত্রাণ দিয়ে আবার চলে আসতেন। উনি মানবতার দোহাই দিয়ে রাজনৈতিক শোডাউন করার জন্য। সে শোডাউন করে ইস্যু তৈরি করার লক্ষ্য ছিলো তাঁর। তাতে তিনি সক্ষম হয়েছেন।’

বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান আকরামুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাবান মাহমুদ প্রমুখ।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.