জাতীয় চার নেতার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

0

সিটিনিউজ ডেস্ক :: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসুস্থ থাকায় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকাল সাতটার দিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

এরপর সকাল আটটার দিকে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

জেলহত্যা দিবসে জাতি শুক্রবার জাতীয় চার নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করছে।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সিনিয়র নেতৃবৃন্দ আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। আওয়ামী লীগ ছাড়াও যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগের সব সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অন্যান্যের মধ্যে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা সাহারা খাতুন, আব্দুর রাজ্জাক, আবদুল মান্নান খান, মাহবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি, আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং হাসান মাহমুদ।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও জাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এর আগে এই জাতীয় চার নেতাকে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এ নির্মম ও বর্বরোচিত ঘটনার পরের দিন তৎকালীন উপ-কারামহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) কাজী আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সবচেয়ে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদের প্ররোচণায় একশ্রেণির উচ্চাভিলাষী মধ্যম সারির জুনিয়র সেনা কর্মকর্তা এ নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটায়। দেশের এই চার শ্রেষ্ঠ সন্তানকে ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর কারাগারে পাঠিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা প্রথমে গুলি এবং পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। জাতীয় এই চার নেতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তার হাতে আটক বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও নেতৃত্বদান করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.