সিটিনিউজবিডি : রাতে ঘুমানার আগে আমাদের ব্যস্ততা যেন বেড়ে যায়। কেউ হয়ে যায় অনলাইনে সক্রিয় কিংবা সিনেমা দেখায় ব্যস্ত। যার ফলে ঘুম আসতে চায় না। অনেক সময় আমরা এর কারণও খুঁজে পেতে ব্যর্থ হই। তবে ঘুমানোর আগে কিছু কাজকর্ম আছে যেগুলো আমাদের ঘুমে মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। তাই সাবধানতা অবলম্বন পূর্বক এইসব কাজে একটু সতর্ক হওয়া শ্রেয় নয় কি?।
*রাতে ভারী খাবার
সকালে ভারী ব্রেকফাস্ট ও রাতে যথাসম্ভব অল্প খাওয়ার চেষ্টা করুন। রাতে প্রতিদিন একই সময় খান। চেষ্টা করুন রাত নয়টার আগেই রাতের খাবার শেষ করতে। রাতে ভারী ও বেশি খেলে রক্তে শর্করা জমা থাকে ও চর্বিযুক্ত ভারী খাবার হজম হতে অনেক সময় লাগে। ফলে তা শরীরকে জাগিয়ে রাখে অনেক রাত পর্যন্ত। তাই রাতে যথাসম্ভব কম ও হালকা খাবার খাওয়াই শ্রেয়।
*অ্যালকোহল সেবন
অনেকের ধারণা, অ্যালকোহল স্ট্রেস কমায় ও ঘুমের অনুভূতি সৃষ্টি করে। কিন্তু অ্যালকোহল সেবন করে ঘুমানো স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই অ্যালকোহলকে এড়িয়ে চলাই ভাল।
*মেইল চেক করা
ঘুমানোর আগে ফোনে বা ট্যাবে মেইল চেক করা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটানোর অন্যতম একটি কারণ। অনেকে অফিসের কাজের অবশিষ্ট বাড়িতে বসে করেন। এটি উচিত নয়। অফিসের কাজ অফিসেই শেষ করুন। অফিস থেকে ফেরার পর পুরো সময়টা নিজের জন্যই বরাদ্দ রাখুন। একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, এমনকি নোটিফিকেশন চেক করাও ঘুমের সমস্যা করতে পারে। ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোনটি সাইলেন্ট করে রাখা উচিত।
*প্রিয় কারো সঙ্গে কলহ
রাগ, মনোমালিন্য বা মন খারাপ নিয়ে ভালো ঘুমানো যায় না তা আমাদের সবারই জানা। যারা একটু বেশি ভাবেন তাদের এসব একটু বেশি ভাবায়। ফলে অনেক রাত পর্যন্ত মস্তিষ্ক সজাগ থাকে।
*ঘুমানোর আগে সিনেমা দেখা
রাতে ঘুমানোর আগে অনেকের সিনেমা দেখার অভ্যাস আছে। বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত, স্ক্রিনের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলে তা শরীরের মেলাটোনিন তৈরিতে ব্যাঘাত ঘটায়। মেলাটোনিন হচ্ছে, একটি হরমোন যার ফলে আমাদের ঘুম অনুভূত হয়। তাই ঘুমানোর যত আগে আপনি আপনার টিভি, ট্যাব বা কম্পিউটারের স্ক্রিন বন্ধ করবেন তত দ্রুত আপনি ঘুমাতে পারবেন।
*বই পড়া
ঘুমানোর আগে বই পড়া যেতে পারে। তবে থ্রিলার, রোমান্টিক উপন্যাস বা বুদ্ধিবৃত্তিক কোনো বই পড়লে তা স্বস্তির বদলে মস্তিষ্ককে আরো উত্তেজিত করে তুলতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন, এমন মানসিক চাহিদা ঘুমে সমস্যা তৈরি করে। তাই ঘুমানোর আগে প্রয়োজন হলে বিনোদনমূলক ম্যাগাজিন ও সাধারণ কোনো গল্পের বই পড়তে পারেন।
*ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম পোস্ট চেক করা
অনেকেই রাত জেগে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রামে থাকে। আবার অনেকেই মনে করেন, ঘুম না আসার আগ পর্যন্ত এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করবেন। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, যারা ঘুমানোর যত আগে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো থেকে দূরে থেকেছেন তারা দ্রুত ও পর্যাপ্ত ঘুমিয়েছেন।