সিটিনিউজবিডি , ঢাকা : বিএনপি-খালেদা চক্র পঁচাত্তরের পরে জন্মানো রাজনীতির ‘বিষবৃক্ষ’ বলে বর্ণনা করে বলেন, ‘বিষবৃক্ষের শুধু ডালপালা ছাঁটলেই হবেনা, তাকে সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে বলেছেন, জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাসদ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ও তথ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন।
তিনি বিএনপিকে ’ খুনের কাঁচামাল সরবরাহের কারখানা জঙ্গিবাদী জামায়াতের আশ্রয়দাতা । তিনি বলেন, ‘দেশকে দেশের পথে সচল ও নিরাপদ রাখতে খুনি-জঙ্গি উৎপাদন ও পুনরুত্থানের কারখানা রজনীতির বিষবৃক্ষ বিএনপি-খালেদা চক্রকে ধ্বংস করতে হবে। বিএনপিকে অচল করতে হবে’ বলেও মম্তব্য করেন মন্ত্রী।
বক্তৃতার শুরুতেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারসহ এই দিনে ঘাতকদের হাতে শহীদ সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে সাম্প্রদায়িক খুনিচক্র পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে। জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে তারা বাংলাদেশ, আমাদের মুক্তিচেতনা ও ইতিহাসকে হত্যা করতে চেয়েছিল। কিন্তু ঘাতকদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি, শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আবার বাংলাদেশের পথে ফিরে এসেছে’।
তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর আবার জাতি একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় বিক্ষত হযেছে, জঙ্গিদের হাতে খুন হয়েছেন শাহ এএমএস কিবরিয়া, আহসানুল্লাহ মাস্টার, ব্লগাররা, আক্রান্ত হয়েছে পীরের মাজার, রেহাই পায়নি উদীচীর মঞ্চ, আগুনসন্ত্রাসে পুড়েছে মানুষ। এ কারণেই জঙ্গিবাদী জামায়াত-বিএনপি-খালেদা চক্রের হাতে এখনও বাংলাদেশ নিরাপদ নয়।’
মন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘যতদিন খুনের কাঁচামাল সরবরাহের কারখানা জঙ্গিবাদী জামায়াত ও এর আশ্রয়দাতা বিএনপি-খালেদা চক্র সক্রিয় থাকবে, ততদিন নিরাপত্তা ও উন্নয়ন বারবার বাধার মুখে পড়বে’, উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই সামরিক-সাম্প্রদায়িক-ধর্মতন্ত্র মিশ্রিত গোঁজামিলতন্ত্র প্রণেতা চক্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধ্বংস করে বৈষম্যহীন, গণতান্ত্রিক, সমৃদ্ধ, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমেই জাতির পিতার প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা জানানো সম্ভব।’ ‘জাসদ এতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে’, অঙ্গীকার করছি।
জাসদের মহানগর সমন্বয়ক মীর হোসেন আখতারের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে নাজমুল হক প্রধান এমপি, সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, নারী জোটের আহ্বায়ক আফরোজা হক রীনা, মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান শওকত, যুবজোট সভাপতি রোকনুজ্জামান রোকন, শফিউদ্দিন মোল্লা, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, শওকত রায়হান, ডা. মুশতাক আহমেদ, নুরুল আখতার, করিম শিকদার, মাইনুর রহমান, মুহিবুর রহমান মিহির, নাদের চৌধুরী প্রমুখ।
এরপর মন্ত্রী জাতীয় প্রেসক্লাবে নব-স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে তারপর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (বিএফডিসি) বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। তার আগে শোক দিবসের ভোরে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পঅর্পণ করেন মন্ত্রী। দারুস-সালামে মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর নিজ বাসায় কাঙালিভোজ উদ্বোধন করে দক্ষিণখানে আশিয়ান মেডিক্যাল কলেজ ময়দানে জাসদ মহানগর উত্তর আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের সভায় যোগদেন। এরপর বাংলাদেশ টেলিভিশনে আয়োজিত শোক দিবসের মিলাদ-মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন তিনি