সিটিনিউজ ডেস্ক:: বর্তমানে বাংলাদেশ যে বাংলা বর্ষপঞ্জি অনুসরণ করে, তার সংস্কারক এজেএম তকীয়ূল্লাহ আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই ভাষা সৈনিক, রাজনীতিবিদ ও গবেষক।
তকীয়ূল্লাহ ভাষাবিদ ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহর চতুর্থ ছেলে। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের যেসব ছবি এখন পাওয়া যায়, সেগুলো তারই তোলা। সে সময়ের এই বাম নেতাকে ১৯৫১ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে কারাগারে থাকতে হয়।
চল্লিশের দশক থেকে দীর্ঘদিন কমিউনিস্ট আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন এজেএম তকীয়ূল্লাহ। ১৯৫১ সালে তিনি কমিউনিস্ট পার্টির ঢাকা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বেশকিছু দিন ধরে ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন তকীয়ূল্লাহ। গত সোমবার তাকে স্কয়ার হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। আর বৃহস্পতিবার সকালে তাকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশীর তাকীয়ূল্লাহ’র ছোট ভাই। আর তার ভাতিজি গীতিআরা সাফিয়া চৌধুরী সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। তকীয়ূল্লাহর ছেলে আহমেদ ইউসুফ আব্বাস অগ্রণী ব্যাংকের একজন উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম)। আর মেয়ে শান্তা মারিয়া দৈনিক আমাদের সময়ের ফিচার সম্পাদক।