বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল স্বাধীনতার পাথেয়- বিভাগীয় কমিশনার

0

চট্টগ্রাম : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর “মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার” এ অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি লাভের অসামান্য অর্জন উপলক্ষে দেশব্যাপি আয়োজিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে আনন্দ শোভাযাত্রা সম্পন্ন হয়েছে।

সকালে নগরীর সার্কিট হাউজে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শোভাযাত্রা শুরু হয়। বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান প্রশাসনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পরে বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‌্যালী নগরীর লালদীঘিতে গিয়ে শেষ হয়। চট্টগ্রামের সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, শিশু কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

লালদীঘি মাঠে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক গুরুত্ব উল্লেখ করে অনুভূতি প্রকাশ করেন ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. ইকবাল বাহার, পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুছ ছালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. সাহাবুদ্দিন প্রমূখ।

বিভাগীয় কমিশনার তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সে ভাষণ ছিল বাঙ্গালী জাতির স্বাধীনতার পাথেয়। সে ভাষণ বাঙ্গালী জাতিকে নতুন পরিচয় পেতে সহায়তা করেছে। তিনি বলেন, দেরিতে হলেও বিশ্ব সম্প্রদায় সে ভাষণের মর্যাদা দিয়ে বাঙ্গালী জাতির মর্যাদা আরো এক ধাপ বৃদ্ধি করেছে। এখন সকলের উচিত অন্তর থেকে সে ভাষণকে স্বীকৃতি দেওয়া। সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়ে সে ভাষণকে অস্বীকার না করা।

সভাশেষে হাজারো মানুষ জাতীয় পতাকা উর্ধ্বে তুলে ধরে “বাংলাদেশ চিরজীবী হউক” বলে সম্মিলিত শ্লোগান দেয়। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.