রংপুর সিটির ভোট শেষে চলছে গণনা

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: প্রথমবারের মত দলীয় প্রতীকে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোট শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত এই ভোট হয়। নির্বাচন কমিশন মোট ১৯৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২৮টিকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করলেও শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

সকাল থেকে নারী ভোটারদের আধিক্য থাকলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। তারা সবাই সুশৃঙ্খলভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

তবে কোনো কোনো কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ভোটারের অপেক্ষায় বসে থাকতেও দেখা গেছে। পরীক্ষামূলকভাবে বেগম রোকেয়া কলেজ কেন্দ্র ইভিএম মেশিনে ভোট নেওয়া হয়।

সেখানে ভোট দিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভোটাররা। পড়ালেখা না জানা ভোটাররা মেশিনে ভোট দেওয়া নিয়ে একটু বিরক্তি প্রকাশ করলেও কাগজ-কালি না লাগায় খুশি বলে জানান। আর শিক্ষিত জনগোষ্ঠী দ্রুত ভোট দিতে পেরে তাদের সন্তোষ প্রকাশ করেন।

ভোট শুরুর পরপরই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু, বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ভোট দেন।

এছাড়া রংপুরের ভোটার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

তারা সবাই ভোট নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং নিজের জয়ের বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে দুপুরের পরে বিএনপির প্রার্থী বাবলা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

তিনি এজন্য বিএনপি দলীয় ভোটার, পোলিং এজেন্টদের প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরূপ আচরণের অভিযোগ করেন। একই সঙ্গে ভোট ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে কিনা তা তিনি গভীরভাবে ভেবে দেখবেন বলেও জানান।

ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, তাদের পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি, অনেককে কেন্দ্র থেকে ক্ষমতাসীনরা বের করে দিয়েছেন।

তাদের এই অভিযোগের পাল্টা জবাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেছেন, ভোটে জিততে পারবে না জেনেই, বিএনপি এমন অভিযোগ করছেন।

আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা বিএনপির অভিযোগ নাকচ করে সাংবাদিকদের বলেন, রসিকে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। ভোটাররা নির্ভয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছেন। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

এবার রসিকে মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মূলত তিন দলের হেভিওয়েট প্রার্থী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দীন আহম্মেদ ঝন্টু, জাপার মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এবং বিএনপির কাওসার জামান বাবলা আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২ হাজার ২৩১ জন পুলিশ এবং ৫১৫ জন আনসার সদস্য মোতায়েন ছিল। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ৩৩টি ভ্রাম্যমাণ আদালত এবং ১১টি বিচারিক আদালত তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

মোট ১৯৩টি কেন্দ্রে রসিকের ভোট হয়। এখানে মোট ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.