মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে- কর্ণেল অলি

0

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দনাইশ : এল.ডি.পি’র প্রতিষ্টাতা সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ড. কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, এখন অনেক রাজাকারের ছেলেরা মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছে। তাই নিজেদেরকে মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিতে লজ্জা লাগে। সেনাবাহিনীর মধ্যে তিনিই প্রথম পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন। ১৯৯৬ সালে তাকে বিভিন্ন দল থেকে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল।

এমন কি আ’লীগের আমির হোসেন আমু, ওবাইদুল কাদের টেলিফোন করে প্রস্তাব দিয়েছিল মন্ত্রী হওয়ার জন্য। তিনি বিএনপির সাথে বেঈমানী করেননি। বর্তমানে যারা উন্নয়নের কাজ করছে তারা নিজেদের স্বার্থে করছে, দেশের জন্য কেউ করছেন না। তিনি ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুদকে যে অভিযোগ দিয়েছিল, তদন্তে তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তিনি বলেন সৎ ছিলাম, সৎ আছি, সৎ থেকে অতীতের মত মানুষের কল্যাণে দেশের কাজ করে যাব।

তিনি ক্ষমতায় থাকা কালীন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা, বিভিন্ন সড়ক নির্মাণ ও সংস্কার করে ব্যাপক কাজ করে গেছেন। বর্তমান এমপি চন্দনাইশ সদর এলাকায় ভি.আই.পি বিদ্যুাৎ লাইন পরির্বতন করে কাঞ্চননগর নিয়ে গেছেন। সেখানে কোনো অফিস আদালত বা জরুরী কোন কার্যক্রম নেই। এখন যারা কাজ করছে তার করা কাজের উপর লেপন দিয়ে শুধু নেইম প্লেইট লাগিয়ে যাচ্ছে।

চন্দনাইশের ইতিহাস লিখতে হলে মনিরুজ্জামান ইসলামাবাদী, যথিন্দ্র মোহন সেন, গাছবাড়ীয়া স্কুলের কথা লিখতে হবে। সেনাবাহিনীতে সৈনিকদের প্রথম তিনি কল্যাণ ট্রাষ্ট গঠন করেছিলেন। জিয়াউর রহমানকে গাছবাড়ীয়া কলেজের পাশ দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় বেড়ার ঘর দেখালে তিনিই ১৯৮০ সালে কলেজটি সরকারি করে দেন। যোগাযোগ মন্ত্রী থাকা কালীন বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর চাচার অনুরোধে গোপালগঞ্জে সড়ক নির্মাণ করেছি। তিনি যোগাযোগ মন্ত্রী থাকাকালীন বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সড়ক নির্মাণের জন্য চিঠি দিয়েছিলেন।

তিনি ৫ টি সড়ক সংস্কার করেছেন, সে সাথে বঙ্গবন্ধুর মাজারে যাওয়ার সড়কটি নির্মাণ করেছেন। তিনিই দেশের প্রথম বীর বিক্রম উপাধি পেয়েছেন। তিনি নিজের নামে ট্রাষ্ট গঠন করে ১০ কোটি টাকার সম্পদ রেখেছেন। সেখানে থেকে গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, গরীব মেয়েদের বিয়ে, এতিমখানা পরিচালনা, রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় নির্বাহ করা হয়। তিনি বলেন নারী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য চন্দনাইশে মহিলা কলেজ, মমতাজ বেগম বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্টা করে এলাকার নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।

যার ফল এখন চন্দনাইশ বাসী পাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে সুশিক্ষা অর্জনের পরামর্শ দেন। বর্তমানে দেশে নারী শিক্ষার অগ্রগতির কারণে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরা কাজ করে যাচ্ছে সফলতার সাথে।

বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর সকালে উপজেলার গাছবাড়ীয়া মমতাজ বেগম বালিকা বিদ্যালয় ও নুরুল ইসলাম কিন্ডার গার্টেন স্কুলের বার্ষিক পুরষ্কার বিতরণী সভা বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্টিত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সামশুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এল.ডি.পি’র প্রতিষ্টাতা সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী ড. কর্ণেল (অবঃ) অলি আহমদ বীর বিক্রম।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা এলডিপি’র সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আকতার আলম, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাদশা, সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা আলহাজ্ব মো. নুরুল ইসলাম, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমজাদ হোসেন, বিজয় কৃষ্ণ ধর, আলোচনায় অংশ নেন অধ্যাপক সিরাজুল করিম, মো. ফজলুল হক সিরাজী, মো. সরওয়ার হোসেন চৌধুরী, কমিশনার খোরশেদ আলম সবুজ, সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. মহসিন, মনিরুজ্জামান চৌধুরী, গাজী মো. নুরুল হাকিম, শিক্ষক যথাক্রমে সুর্বণা বড়–য়া, উজ্জ্বল চক্রবর্ত্তী, প্রশান্ত কুমার শর্মা, কে এম সরওয়ার, লুৎফুর নেছা, সাজেদা সুলতানা, শিউলী রক্ষিত, শওকত হোসেন, রেহেনা আক্তার, লিটন চক্রবর্ত্তী, শাহাদাত হোসেন, জসিম উদ্দীন বিপ্লব, অনিল বড়ুয়া প্রমুখ। আলোচনা শেষে অতিথিবৃন্দ ৩৪ টি বিষয়ে ক্রীড়া, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী, মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.