সরকার দেশকে এগিয়ে নিতে নানাভাবে তৎপরতা চালাচ্ছে

0

বাঁশখালী প্রতিনিধি : বাঁশখালীতে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার ৬ষ্ঠ দিনের অনুষ্ঠান শুক্রবার ২৯ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম। অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক অধ্যাপক একেএম জহুরুল ইসলাম চৌধুরী।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উদ্যাপন পরিষদের মহাসচিব ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, সুকুমার চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আবু ইউসুফ চৌধুরী, বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মাহফুজুল হক চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দিন, সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ জোবায়ের, বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য জাফর আহমদ, মেলা উদ্যাপন পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা স্বপন ভট্টাচার্য্য, এডভোকেট মুজিবুল হক, মুক্তিযোদ্ধা ছিদ্দিক আহমদ, চাম্বল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক চৌধুরী, সুমন শাহেদ ছিদ্দিকী, সালাউদ্দিন সাকিব, শিহাবুল হক সিকদার, মহিউদ্দিন মাহি, বাবর উদ্দিন সাগর, আমিরুল ইসলাম সায়েম, এম. মনছুর আলী, আজিজুল ইসলাম, শেখ মহিউদ্দিন, সাহাব উদ্দিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা দৈনিক আজাদীর বার্তা সম্পাদক একেএম জহুরুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় পুরো বাঙালী জাতির বিজয়।

সে কারণে বিজয়ের এ চেতনা ছড়িয়ে দিতে হবে পুরো সমাজে। তাই বিজয়ের এই চেতনার সামাজিকরণে এ ধরনের বিজয় মেলার গুরুত্ব অপরিসীম। সম্ভবত সেই বোধ থেকেই বিজয় মেলা আজ গ্রামেগঞ্জে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। বাঙালী বিজয় যেমন অর্জন করতে পারে তেমনি বাধ ভাঙা উল্লাসে বিজয়োৎসবও উদ্যাপন করতে জানে। এটাই বাঙালীর ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য। একটি গণতান্ত্রিক অসম্প্রদায়িক শোষনমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গিকার ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। সেই চেতনা ধারণ করেই এগিয়ে যেতে হবে।

মানুষের চাওয়া বুঝতে হবে। সমাজের চাহিদা অনুধাবন করতে হবে। রাজনীতিতে আদর্শ ও সুস্থতার চর্চা থাকতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে দেশপ্রেম ও মানবতার প্রতি দয়াবোধ। এই বোধ জাগ্রত হয়ে পুরো জাতিকে উল্লাসের অগ্রযাত্রায় সামিল করতে হবে। তাহলেই কেবল দেশকে এগিয়ে নেওয়ার আন্দোলন সফল হবে। যুব সমাজ নিয়ে আমাদের দুর্ভাবনা আছে। তাদেরকে পথ দেখাতে হবে। তাদের ভিতরে আশা ও আস্থা জাগাতে হবে। কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই মাদক ও জঙ্গিবাদের সমস্যা থাকবে না। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম বলেন, বর্তমান সরকার নানা ভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

আগে যেখানে সাধারণ মানুষ নিরাপদে থাকা খাওয়ার জন্য চিন্তায় থাকতো সেখানে আজ জাতির জনকের কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়েছে। অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও তাৎপর্য জানার জন্য আগামী প্রজন্মের আহবান জানান। তিনি বলেন, বাঁশখালী একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। যেখানে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছে। বর্তমান সরকার বাঁশখালীকে আধুনিক বাঁশখালী গড়ার অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তা বাস্তবায়ন হলে বাঁশখালী আধুনিক বাঁশখালীতে রূপান্তরিত হবে। আলোচনা শেষে দেশের খ্যাতিমান গণসঙ্গীত শিল্পী ফকির সাহাব উদ্দিন ও তার দল সঙ্গীত পরিবেশন করেন। এর আগে বাঁশখালীর খ্যাতিমান শিল্পীরা তাদের সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.