কক্সবাজারে শ্যামলী পরিবহনের ধাক্কায় ব্যবসায়ী নিহত

0

শাহজাহান চৌধুরী শাহীন, কক্সবাজার : কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী বাজার এলাকায় বেপরোয়া শ্যামলী পরিবহনের ধাক্কায় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি হাজী নুরুল ইসলাম (৫২) নিহত হয়েছেন।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে মসজিদ থেকে ফজরের নামাজ শেষে বের হলেই খুটাখালী বাজারে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যবসায়ী খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ব নয়া পাড়া গ্রামের মরহুম হাজী মোজাহের আহমদের ছেলে ও নসু বলীর নাতি। পারিবারিক জীবনে তিনি ২ ছেলে ও ২ কন্যা সন্তানের জনক।

নিহতের বড় ছেলে জাহেদুল ইসলাম শিবলী জানান, তার বাবা ফজরের নামাজ শেষ করে প্রতিদিনের মত ভোর সকালে চিংড়ি ও লবণ ব্যবসা দেখভালের জন্য খুটাখালি বাজারে মহাসড়কের পাশে অবস্থান করছিল। ওইসময় কক্সবাজারমুখী যাত্রীবাহি নাইট কোচ শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে এসে ধাক্কা দিলে তিনি সড়ক থেকে ছিটকে অনেক দুরে পড়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা গুরুতর আহত হাজী নুরুল ইসলামকে উদ্ধার করে মালুমঘাট হাসপাতালে নেয়ার পথে মৃত্যুর কাছে হেরে যান এই ব্যবসায়ি।  ঘাতক শ্যামলী পরিবহণ পালিয়ে সদরের ঈদাগাঁও এলাকা পর্যন্ত গেলেও গাড়িটি আটক করেন জনতা। পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরী করেছে। নিহতের আত্মীয় মমতাজ আহমদ সওদাগর জানান, প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে বিকালে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হবে।

আকস্মিক মর্মান্তিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি হাজি নুরুল ইসলামের মৃত্যুর সংবাদে তাকে শেষবারের মতো একনজর দেখার জন্য শতশত নারী পুরুষ নিহতের বাস ভবনে ভিড় জমায়।
কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে শ্যামলি পরিবহণ নামের মৃত্যুর দূত গুলো বন্ধ করা করার জন্য দাবী উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

এই শ্যামলী গাড়ির চালকেরা বেপরোয়া গাড়ি চালনা করেন। এই গাড়ির একজন চালক ঢাকা থেকে গাড়ি চালিয়ে কক্সবাজার আসেন, দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় চালক না পাল্টানোর কারণ চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালনা করে চালকরা। চোখে ঘুম নিয়ে হয়তু নেশা গ্রস্থ দুরপাল্লার এই বাসের চালকেরা মনে করে মহা সড়ক তাদের বাপ দাদার, না হয় শ্যামলী পরিবহণ মালিকের।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহাসড়কে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার জন্য শ্যামলী পরিবহণগুলোই সড়কে বেশির ভাগ দায়ী। বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও মৃত্যুর মিছিল বানাচ্ছে।
৩১ ডিসেম্বর সকালে চকরিয়া খুটাখালীতে শ্যামলী পরিবহনের ধাক্কায় মর্মান্তিক ভাবে মারা গেলেন ব্যবসায়ি হাজি নুরুল ইসলাম। তিনি নামাজ পড়ে বের হয়েই রাস্তার পাশে ধাক্কা দেয় এই জম দূত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, কক্সবাজার অভিমুখি শ্যামলী গাড়িটি ঈদগাওতে আটক করা হয়েছে। আটক করলে কি হবে, আনাড়ি এই চালক কি ফিরিয়ে দিতে পারবে একজন মুসল্লির তাজা প্রাণ। থামাতে পারবে স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও আত্বীয় স্বজনদের কান্না।

তাদের দাবী, অন্তত ঢাকাগামি ও কক্সবাজারগামি এসব শ্যামলী পরিবহণে চট্টগ্রাম মাঝ পথে চালক পরির্বতন করা হোক।না হয়, শ্যামলী পরিবহণের বেপরোয়াগতি থামাতে সবাই এগিয়ে এসে রাস্তায় নামার আহবান জানানো হয়।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.