শীতার্তদের সাহায্যার্থে সিএমবি’র ব্যান্ড কনসার্ট অনুষ্ঠিত

0

আবছার উদ্দিন অলি ::  ব্যান্ড মানে হৈ চৈ। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা, আনন্দের জয়গান। তরুন-তরুনীদের ভালবাসার প্রিয় সঙ্গীত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে চমৎকার মুহুর্ত। চট্টগ্রামের সাথে ব্যান্ড সঙ্গীতের একটি নিভীড় সম্পর্ক রয়েছে। ব্যান্ড সঙ্গীতের ইতিহাস, ঐতিহ্য, জন্ম, নানা বিষয়ে পর্যালোচনা করলে উঠে আসে চট্টগ্রামের নাম। ব্যান্ড সঙ্গীত জন্ম যার চট্টগ্রামে। এ বিষয়ে কারো দ্বিমত নেই। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে চট্টগ্রাম মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন প্রতি বছর ৩টি কনসার্ট করে থাকেন।

তিনটি অনুষ্ঠানের রূপ, রং, আঙ্গিক ভিন্ন ভিন্ন। তারই ধারাবাহিকতায় মানবিক চিন্তা চেতনা থেকে ব্যান্ড ফেস্টিভ্যাল এর আয়োজন। অত্যন্ত প্রাণবন্ত ও জমকালো এই আয়োজনটি সেদিনের দর্শক শ্রোতাদের মনে আনন্দ দিতে পেরেছে। পুরো চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী জুড়ে কানায় কানায় দর্শকদের উপস্থিতি প্রমাণ করে ভাল অনুষ্ঠান হলে দর্শকরা সাদরে গ্রহন করে। চট্টগ্রামে সংস্কৃতি চর্চার যে সুন্দর পরিবেশ রয়েছে সেটি মঙ্গলবার ও বুধবার শিল্পকলার মুক্ত মঞ্চে ব্যান্ড ফেস্টিভ্যালে বুঝা গেল।

চট্টগ্রাম মিউজিকাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন (সিএমবিএ) আয়োজিত “গান শুনুন আর শীতার্তদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসুন” এই শিরোনামে ২ দিন ব্যাপী ব্যান্ড কনসার্ট গত ২৬ ও ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার ও বুধবার দুপুর ৩টা ৩০মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে অনুষ্ঠিত হয়। দুই দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন- সিএমবি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী। এতে প্রথম দিন ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক পূর্বকোণের বার্তা সম্পাদক কলিম সরওয়ার।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সিএমবি’র উপদেষ্টা সুব্রত বড়ুয়া রনি, জ্যাকব ডায়াস, বারকোডের নির্বাহী পরিচালক মঞ্জুরুল হক, সাংবাদিক ও গীতিকার আবছার উদ্দিন অলি, রুম্মান আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সিএমবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট সেলিম জাহান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। প্রথম দিন শুরুতেই ব্যান্ড সংগীত পরিবেশন করেন মিউজিক মাইন্ড ‘তুমি আমার সীমাহীন’, ‘নামাজ পড় রোজা রাখ লও আল্লাহর নাম’,। এরপর ব্যান্ড দল সাধক পরিবেশন করেন ‘বকুল ফুল বকুল ফুল’, সাত সখিরে পার করিতে নিবো আনা আনা’,।

চট্টগ্রামের জনপ্রিয় ব্যান্ড দল স্পার্ক পরিবেশন করেন ‘বিষাদ সিন্ধু’, সুন্দরীতম আমার’,। এরপর বে-অব বেঙ্গল, নাটাই, জিরাকো, ব্লু হরনেট, সেন্ডস, মোশান ইউনিভার্স, সহ আরো কয়েকটি ব্যান্ড দুইটি করে গান পরিবেশন করেন। দ্বিতীয় দিন প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সিসিএল এর পরিচালক শ্যামল কুমার পালিত।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- দৈনিক প্রথম আলো’র যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ চৌধুরী, সিএমবি’র উপদেষ্টা জ্যাকব ডায়াস, সাংবাদিক ও গীতিকার আবছার উদ্দিন অলি। দ্বিতীয় দিন ২৭ ডিসেম্বর বুধবার শুরুতেই প্রথম ব্যান্ড দল ছিল- চাটগাঁ ব্যান্ড দল। তারা পরিবেশন করেন- ‘ওরে নীল দরিয়া’,। এরপরপরই তীরন্দাজ, স্টোন, রানওয়ে, সাসটেইন, রিসেন্ট, মেন্টিকেল, অক্সিজেন, আর্তনাদ, রিসেন্ট দুটি করে গান পরিবেশন করেন। দুই দিনেই অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন- সিএমবি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী।

অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিল-ইরা। দুই দিন ব্যাপী পুরো অনুষ্ঠানটি সিসিএল ও সিপ্লাস সরাসরি স¤প্রচার করেন। চট্টগ্রাম মিউজিক্যাল ব্যান্ড এসোসিয়েশন বর্ণাঢ্য আয়োজনটি করেছে শীতার্ত মানুষের সাহায্যার্থে। চট্টগ্রামের অনেক গুলো ব্যান্ড দলকে এক সাথে এক মঞ্চে এনে সংগীত পরিবেশন করানো এবং দর্শকদের চমৎকার চমৎকার গান উপহার দেওয়া, বিনোদন এবং মানবিকতা দুটি কাজকে এক সাথে সমন্বয় করে দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার যে দায়িত্বটুকু পালন করেছেন, তা সত্যিই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।

ভালো কাজের পৃষ্ঠপোষকতা এই দু:সময়ে জমকালো আয়োজনে দুই দিন ব্যাপী প্রোগ্রাম করে সিএমবিএ সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করেছেন, দৈনিক আজাদী, রেডিও টুডে, চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমী, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ, এলিট পেইন্ট গ্র“প ও পিএইচপি ফ্যামিলি। যাদের সহযোগিতা না হলে এত বড় অনুষ্ঠান করা সম্ভব হতো না। আগামীতেও সিএমবি’র কাছ থেকে এ ধরণের ভালো অনুষ্ঠান আশা করেন চট্টগ্রাম সাংস্কৃতি সুধীজনরা।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.