হালদা নদীর পাড়ে মৃত শুশুক
নিজস্ব প্রতিনিধি,চট্টগ্রাম : চট্টগামে হালদা নদীর পাড়ে মিলল বিশ্বের অতিবিপন্ন স্তন্যপায়ী স্বাদু পানির মৃত শুশুক। আজ বুধবার ৩ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের কান্তর আলী চৌধুরী হাটের উত্তর পার্শ্বে দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র মিঠা পানির প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীর পাড়ে মৃত অবস্থায় শুশুকটি দেখতে পায় স্থানীয় জনতা।
ওই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হাটহাজারী কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তানজিদুল ইসলাম যুগান্তরকে জানান,শুশুকটির শরীরের দুটি স্থানে ক্ষতচিহ্ন রয়েছে।প্রায় ৭ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩ ফুটের মতো প্রস্হ এ মৃত শুশুকটির শরীর রশি দিয়ে বাঁধা ছিল।বিশ্বের অতিবিপন্ন স্তন্যপায়ী স্বাদু পানির মৃত শুশুকটিকে একনজর দেখতে ওই এলাকায় স্থানীয়রা ভিড় করে।
স্থানীয় জনতা মৃত শুশুকটি উদ্ধার করে মৎস্য অফিসে নিয়ে আসেন বলে জানান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আজহারুল আলম। তিনি জানান, বিশ্বের অতিবিপন্ন স্তন্যপায়ী প্রাণী শুশুকটি কী কারণে মারা গেছে,তা স্থানীয় চেয়ারম্যানকে নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর ড. মনজুরুল কিবরিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে আলাপকালে তিনি যুগান্তরকে জানান,বিশ্বে অতিবিপন্ন স্তন্যপায়ী স্বাদু পানির প্রাণী শুশুক। ২৫-৩০ বছর আগেও বাংলাদেশের নদীগুলোতে অনেক শুশুক দেখা যেত।কিন্তু এখন আর সেটা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তাই ১৯৯৬ সাল থেকে বিপন্ন প্রাণীর তালিকায় নাম উঠে গেছে শুশুকের।এটি নদীর পরিবেশ নিদের্শক প্রজাতি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বিশ্বে জীবিত শুশুকের সংখ্যা প্রায় ১২শ। এর মধ্যে হালদায় রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩শ শুশুক।সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একশ্রেণির অসাধু মহল হালদা নদী থেকে আবাধে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন করে আসেছে। এসব ড্রেজারের আঘাতে এ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির অকালমৃত্যু হচ্ছে বলে তিনি ধারণা করছেন।