কর্ণেল অলি এবং খালেদা জিয়ার অপরাধের ক্ষমা নাই- ওমর ফারুক
নিজস্ব সংবাদদাতা,চন্দনাইশ : বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, রাজনীতি হচ্ছে সমঝোতা, মিছিল, মিটিং করে রাজপথ দখল রাখা। সরকারী দলে থেকে বেশি বেশি কর্মসূচি, সমাবেশ, নতুনত্ব, গবেষণা, প্রকাশনা করার মাধ্যমে দলকে চাঙ্গা রাখা। তিনি কর্ণেল অলি কে উদ্দেশ্যে করে বলেন, সাকা চৌধুরী এখন কোথায়? বড় বড় কথা বলতেন। তার মত আপনি ও মানুষকে সম্মান না দিয়ে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। মিথ্যার ঝুড়ি দিয়ে রাজনীতি করেছেন।
ভুল এবং অপারাধের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ভুল করলে ক্ষমা চাওয়া যায়। কর্ণেল অলি এবং খালেদা জিয়ারা মিলে দেশকে জঙ্গীবাদে রুপান্তিরত করেছেন। এ অপরাধের ক্ষমা নাই। অলির গলিতে উন্নয়ন হয় নাই। অলি, গাউছ, কুতুব সকলের বাড়ী নোয়াখালী। তার কোন পৈত্রিক বা দাদার ঠিকানা নাই।
দলকে শক্তিশালী করতে হলে সংগঠন, দলের জন প্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যের সাথে সমন্বয় করে সংগঠন করার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। রাজনৈতিক নেতাদের রুটিন থাকতে হয়। এখন যারা রাজনীতি করেন তাদের সেরকম রুটিন না থাকায় রাজনীতি পিছিয়ে পড়েছে। ধন, জন, জোয়ানি, কচু পাতার পানি। জোবন হচ্ছে ভোগের কাল। জোবান কালে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। ৭ মার্চের ভাষণ প্রয়োগ, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, নির্দেশনা, স্বপ্ন দেখেছি বলে আজকের বাংলাদেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।
শেখ হাসিনার দর্শন ও শ্লোগানে ভোগ ও ভাতের অধিকারের কথা আছে। জিয়ার রাজনীতিতে ছিল ১০ টি হোন্ডা, ২০ জন গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন করেছিল। হ্যাঁ ভোট ছিল ১১৩টি না ভোট ছিল না। এরশাদ রাতের অন্ধকারে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষনা করে রাষ্ট্র নায়ক হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার, জনগণের ক্ষমতায়ন ও গণতন্ত্র রক্ষায় এ নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধান রক্ষা করেছিল। খালেদা জিয়া সেইদিন নির্বাচনে না গিয়ে সংবিধানকে অমান্য করেছেন।
খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন দুর্নীতিতে বিশ্ব জরিপে তৃতীয় হয়েছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে মানবতার নেত্রী হিসাবে শান্তির প্রতীক রাষ্ট্র নায়কের তৃতীয়স্থানে রয়েছেন। ড. ইউনুছ দেশে বন্যার্থদের পাশে না দাড়িয়ে হিলারী ক্লিন্টনের নির্বাচনে লক্ষ লক্ষ ডলার দিয়েছেন। স্বপ্ন দেখতে হবে দৃশ্যমান। যে স্বপ্ন বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা। স্বপ্ন সেটাই যেটা মানুষ পূরণের চেষ্টা করে। যুবকদের মাঝে এধরনের স্বপ্ন থাকার কারণে যুবলীগের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
সংসদ সদস্য ও জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কাছে তিনি দাবী তুলে বলেন চাকরির বয়স ৩০ বছর সীমাবদ্ধ না রেখে বাড়িয়ে দেয়ার জন্য। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এধরনের কোন নীতিমালা নাই। যোগ্যতা দিয়ে চাকরির পাবে যুব সমাজ। তিনি বলেন ৩০ বছরের বয়সী যুবক এবং এর পরের বয়সী যুবকদের নিকট হতাশা ও বেদনা দেখেছি। তারা ও সুযোগ চাই। আইনের মারপ্যাচে পরাজিত হচ্ছেন এ সকল শিক্ষিত যুবক। তাই আইন পরিবর্তন চান তিনি। গতকাল ৬ জানুয়ারী সকালে চন্দনাইশ উপজেলা যুবলীগ,উত্তর সাতকানিয়া থানা সাংগঠনিক যুবলীগের যৌথ উদ্যোগে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস উপলক্ষে যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি উল্লেখিত কথা গুলো বলেছেন।
চন্দনাইশ পৌরসভার জোয়ারা রাস্তার মাথা এলাকায় একটি কমিউনিটি সেন্টারে সফল রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনার বিশ্ব শান্তি দর্শন জনগনের ক্ষমতায়ন সুদৃঢ় করার অঙ্গীকারে ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্রের বিজয় ও সংবিধান রক্ষা দিবস উপলক্ষে চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক তৌহিদুল আলমের সভাপতিত্বে সভায় উদ্বোধক ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডেন্ট সদস্য আতাউর রহমান আতা, সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম, দক্ষিণ জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান, পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম খোকা।
প্রধান আলোচক ছিলেন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ন.ম টিপু সুলতান চৌধুরী, বিশেষ বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক প্রার্থ সারর্থী চৌধুরী।
উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এস.এম মুছা তছলিম, মুরিদুল আলম মুরাদ, উত্তর সাতকানিয়া যুবলীগের মো. ওসমান আলীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, মীর মহি উদ্দীন, কায়কোবাদ ওসমানী, জাহেদুর রহমান সোহেল, গিয়াস উদ্দীন সুজন, আতাউর রহমান, দেবাশীষ পাল দেবু, দেলোয়ার হোসেন খোকন, মো. আরিফুর রহমান, সেলিম উদ্দীন, আনিছুর রহমান, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দীন বাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ, যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দীন, আব্দুর রহিম, হাজী সেলিম উদ্দীন, রফিকুল আলম, এস.এম রাশেদুল আলম, শহিদুল ইসলাম, স্থানীয় যুবলীগ নেতা বেলাল হোসেন মিঠু, আব্দুল্লাহ আল নোমান বেগ। সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মঈনুদ্দীন, হাসান মাহমুদ, হামিদুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।