রাবিপ্রবি ভিসির অপসারণ দাবি
সাইফুল উদ্দীন, রাঙামাটি প্রতিনিধি : রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমাকে ‘অযোগ্য’ ও ‘দুর্নীতিবাজ’ দাবি করে তার অপসারণ দাবি করেছে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদ। একই সাথে আগামী ১৫ জানুয়ারি তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে একই পদে পুনর্বহাল করা হলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে রাঙামাটি জেলায় লাগাতার হরতাল কর্মসূচীর ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।
বুধবার সকালে রাঙামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষনা দেয়া হয়।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অপসারণের দাবিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমা বিশ্ববিদ্যালয়ে একচেটিয়াভাবে তার আত্মীয় স্বজনদের নিয়োগ দিয়ে চলেছেন। বিগত চার বছরে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন করেনি। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুমিস্বত্ত বুঝে পাওয়ার পরেও উক্ত স্থানে কাজই শুরু করতে পারেননি। শুধু তাই নয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যানের নামে নাম ফলক দেয়ার পর রাতের আধারে সেই নামফলক উপড়ে ফেলে দুর্বৃত্তরা।
কিন্তু এই ঘটনার পর থানায় কোনো প্রকার জিডিও করেননি। বক্তারা অভিযোগ করেন,ভিসির ব্যর্থতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে একটি বেসরকারি স্কুলের ভাড়া করা কক্ষে। গাদাগাদি করে ক্লাশ করতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।
বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত চার বছরে জাতীয় কোনো দিবস উদযাপন করা হয়নি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করার অপরাধে এক ছাত্রকে হল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
‘ভিসিকে পুন:নিয়োগ দেয়া হলে রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হতে পারে’ এমন শংকার কথা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভিসির অপসারণের দাবিতে হরতাল অবরোধসহ কঠোর ধারাবাহিক কর্মসূচী ঘোষনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান,১৬ জানুয়ারি থেকে গণসাক্ষর সংগ্রহ,২৬ জানুয়ারি মানববন্ধন,১৬ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুধীজনদের সাথে মতবিনিময়,১ ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতার হরতাল।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন পরিষদের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক আবদুল্লাহ আল-মামুন, জাহাঙ্গীর কামাল, কাজী জালোয়া প্রমুখ।
পরে ভিসি ড. প্রদানেন্দু বিকাশ চাকমার অপসারণের দাবিতে জেলাপ্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।