বাংলাদেশ ২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে-শেখ হাসিনা

0

 

সিটি নিউজ ডেস্কঃ ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করতে চাই। ব্যবসায়িক সুনাম দেশ ছেড়ে বিদেশ ছাড়িয়েছে। রপ্তানি আয় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই উন্নয়ন পরিকল্পনার লক্ষ্য বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আগামী মার্চেই উন্নয়নশীল দেশের কাতারের পৌঁছাবে বাংলাদেশ। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম (বিডিএফ) এর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তিনি বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম ২০১৮ এর উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার বড় চ্যালেঞ্জ অর্থ যোগান দেয়া। তবুও আমরা দারিদ্র্যের হার নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। ২০১১ সালের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে সারাবিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। অমিত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে একটি গতিশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার ক্ষমতা আমাদের আছে। বাংলাদেশ আজ আর্থসামাজিক দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ে তিনি বলেন, মাথাপিছু আয় উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৯ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৬ হাজার ৩৫০ মেগাওয়াটে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে। ১৩ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহৃত হচ্ছে। ৮ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় পর্যায়ে ব্যক্তিগত অংশগ্রহণ জরুরি মনে হওয়ায় সরকার বর্তমানে প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছে। একই সঙ্গে জলবায়ু সহিষ্ণু খাদ্য উৎপাদনে গবেষণা করে সফল হয়েছি। সপ্তম বার্ষিক পরিকল্পনায় নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ওএফআইডি)’র মহাপরিচালক সুলেইমান জাসির আল-হার্বিশ, বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস-প্রেসিডেন্ট অ্যানিত্তি ডিক্সন, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ভাইস-প্রেসিডেন্ট ওয়েনসাই জাং, জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-মহাপরিচালক মিনোরু মাসুজিমা এবং অন্যান্য উচ্চপর্যায়ের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিরা।

দুইদিনের এই ফোরামে আটটি কর্মঅধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। এতে দেশের কৃষি উন্নয়নে জলবায়ু পরিবর্তন, বৈদেশিক বিনিয়োগ, বেসরকারিখাতের আরও বেশি অংশগ্রহণ, মানবসম্পদের উন্নয়ন, বৈষম্য রোধ, নারী নির্যাতন রোধ, নাগরিক সেবার মানোন্নয়ন, স্বল্পোন্নত দেশ হতে উত্তরণ এবং টেকসই উন্নয়নের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হবে। আলাদা আলাদা সেশনে উঠে আসবে বিশেষজ্ঞ মতামত।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.