অনন্দিতা ভট্টাচার্য ও তদ্রা সিংহ মৌ এর সংগীতানুষ্ঠান
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজ :: নগরীর থিয়েটার ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে আজ ৪ ফেব্রুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল সুকণ্ঠ সঙ্গীত বিদ্যাপীঠ’র আয়োজনে দুই প্রতিভাবান শিল্পীর সংগীতানুষ্ঠান।
শ্রবণী দাশগুপ্তের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় দ্বৈতকণ্ঠে শিল্পী অনন্দিতা ভট্টাচার্য ও তদ্রা সিংহ মৌ এর পরিবেশনায় রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের অমর দুই সৃষ্টি ‘আনন্দলোকে’, ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য্য’, গান পরিবেশনের মধ্যদিয়ে ‘সুর বিহগী’ শিরোনামে সংগীত সন্ধ্যার শুভ সূচনা হয়।
এরপর অনন্দিতা ভট্টাচার্য পরিবেশন করেন ‘তোমার জন্য অজস্র প্রেম’। তদ্রা সিংহ মৌ পরিবেশন করেন ‘এদেশ আমার নিবিড়’। ‘শতজনমের স্বপ্ন’ ও ‘হায়রে পোঁড়া বাঁশি’ পরিবেশন করেন অনন্দিতা ভট্টাচার্য। ‘এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যায়’ ও ‘আমি যে আধারের বন্দিনী’সহ জনপ্রিয় বেশ কিছু গান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দৈনিক আজাদীর সহযোগি সম্পাদক রাশেদ রউফ। অতিথি ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার, গীতিকার অধ্যাপক পঙ্কজ দেব অপু।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুকণ্ঠ বিদ্যাপীঠের পরিচালক সংগীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক সুব্রত দাশ অনুজ। শিল্পীদের সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ রউফ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুল এই দুইজন ছাড়া বাঙালি অসম্পূর্ণ। বাংলা সাহিত্য ও সংগীতে এই দুই জনের অনন্য অবদান জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের অমর সৃষ্টি দুই গানকে সমন্বয় করে সংগীতানুষ্ঠানের শুভ সূচনা হওয়ায় তিনি আয়োজকদের অভিনন্দন জানান। শিল্পীদেও নিপুন কণ্ঠশৈলীর ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং সংগীতে তাদের সমৃদ্ধি কামনা করেন।
মাঘের এই কনকনে শীতে অনন্দিতা ভট্টাচার্য ও তন্দ্রা সিংহ মৌ’র সংগীত পরিবেশনায় চট্টগ্রামের সংগীত প্রিয়াসী শ্রোতারা ভাসছিল সুরের ভেলায়। গুণী এই দুই শিল্পীর অসাধারণ সুর মাধুরী নাড়া দিয়েছে চট্টগ্রামের সংগীত প্রেমীদের।
প্রাণবন্ত এই আয়োজনে কী বোর্ডে ছিলেন সৃজন রায়, তবলায় প্রীতম আচার্য, সানি দে, অক্টোপ্যাডে জুয়েল দাশ, অ্যাকুষ্টিক গিটারে মো. শাহনেওয়াজ, বেস গিটারে ছিলেন তন্ময় বড়–য়া। অনুষ্ঠানের সমন্বয় ছিলেন উৎপল দে মিঠু।