এম.আর. সিদ্দিকীর ২৬ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে  শ্রদ্ধাঞ্জলী

0

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুন্ডঃঃ  মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, এম আর সিদ্দিকীর ২৬ তম মৃত্যু বাষির্কীতে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১১ টায় সীতাকুণ্ডের নিজ গ্রামে  দিনভর নানা কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে  এম.আর সিদ্দিকীর মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়। সকালে নিজের গড়া প্রতিষ্ঠান লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজের উদ্যোগে খতমে কোরআন, দোয়া মাহফিল, কবর জিয়ারত ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ  করা হয়েছে।

এছাড়া লায়ন্স ক্লাব, সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম, সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, উপজেলা কৃষক লীগ, লায়ন্স ক্লাব অব লিবার্টি সীতাকুণ্ডসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয় এবং মরহুম এম আর সিদ্দীকীর আত্নার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এতে উপস্থিত ছিলেন, লায়ন্স ক্লাব অব চিটাগাং সীতাকুণ্ডের প্রেসিডেন্ট ও বিশিষ্ট শিল্পপতি মাস্টার কাসেম, সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম এর সভাপতি মোঃগিয়াস উদ্দিন, সহ সভাপতি নাছির উদ্দিন মানিক, হাজী ইউসুফ শাহ্, লায়ন্স ক্লাব অব লিবার্টি সীতাকুণ্ডের প্রেসিডেন্ট লায়ন কাজী আলী আকবর জাসেদ,

কেন্দ্রীয় কৃষক লীগ নেতা মোস্তফা কামাল চৌধুরী, সীতাকুণ্ড পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বেলাল, কবি শুক্কুর চৌধুরী, সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিএসসিসহ বিভিন্ন সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।

মরহুমের পুরো নাম মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী যিনি সারা দেশব্যাপী এম আর সিদ্দিকী নামে পরিচিত।১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড থানার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমতনগর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন। এম.আর সিদ্দিকী জাতীয় রাজনীতিতে ছিলেন সফল ব্যক্তিত্ব্।

১৯৬২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। সীতাকুণ্ড থানা থেকে এম.আর সিদ্দিকীর পূর্বে কেউ পাকিস্তানের জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হননি।

১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগদান করেন।

তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। তাঁকে বাংলাদেশের লায়নিজম চর্চার জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ১৯৯২ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.