খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজের বস্তায় পাথর

0

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজঃঃ  চট্টগ্রামে ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের বস্তার ভিতর পাথর পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে খুচরা ব্যবসায়ীর মাথায় বাজ পড়েছে।

এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের বস্তার ভিতর পাথর মিশিয়ে ওজন বাড়িয়ে পাইকারী দলে বিক্রয় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১শ কেজি পেঁয়াজের বস্তায় প্রায় ৪০ কেজি পাথর পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন পুটপাতের খুচরা বিক্রেতারা।

রুহুল আমিন (৩০)নামে এক খুচরা বিক্রেতা জানান, খাতুনগঞ্জ থেকে সে প্রতিদিন পাইকারী দামে মাল ক্রয় করে পুটপাতে ঠেলাগাড়ীতে করে বিক্রয় করে। আজ মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারী)ও সে তার ভাই দুইজন মিলে পেঁয়াজ কিনতে খাতুনগঞ্জের মেসার্স খাজা ট্রেডার্সে যায়।

সেখান থেকে ৩৫ টাকা করে তুর্কি পেঁয়াজের দাম ঠিক করে ৩ বস্তা ক্রয় করি। প্রতি কেজির ওজন ১শ কেজি।প্রতি কেজিতে দামের বাইরে আরও ৫০ পয়সা টাকা করে আড়ত ও শ্রমিকের খরচ দিয়ে রিক্সায় তোলে। পরে দেখি ভিতরে পাথর।

খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বস্তায় পাথর- ছবি মোহাম্মদ হানিফ
                         খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের বস্তায় পাথর- ছবি মোহাম্মদ হানিফ

আমার ভাই অনেকগুলো পাথর বের করে। সওদাগরকে পাথরগুলো দেখিয়ে বলি, আমি খুচরা বিক্রি করে দু’চার টাকা পাই।এই পাথর নিয়ে গেলেতো আমার মূল টাকাই চলে যাবে। এ নিয়ে কি করে বাঁচবো। জবাবে সওদাগর বলেন, এখন নিয়ে যাও আরেকদিন আসো। পুসিয়ে দেবো।

রুহুল আমিন আরও বলেন, সওদাগরের কথায় পেঁয়াজ নিয়ে চলে যাই ডিসি রোডে।সেখানে গিয়ে বস্তা খুলে দেখি পেঁয়াজের চেয়ে পাথরের ওজন বেশি। রিক্সা নিয়ে আবার আড়তদার খাজা ট্রেডার্সে গেলাম।

পাথরগুলো দেখালাম। সওদাগর স্লিপ নিয়ে আমাকে ২৫০ টাকা ফেরৎ দিল।যাও চলে যাও,আর ঝামেলা করো না। তমি বহুত ঝামেলা করে ফেলেছো।তার আর কিছু করার নেই।পেঁয়াজের সাথে ২শ গ্রাম ওজনের পাথরগুলোও নিয়ে রুহুল চলে যায়।

খাতুনগঞ্জের এক পাইকারী ব্যবসায়ী বলেন, এগুলো এ ধরনের আসে নাকি এখানে মিক্স করা হয় বলা যাচ্ছেনা। এ নিয়ে পুরো পাইকারী বাজারে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.