চন্দনাইশে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে ২ ঘন্টা পর

0

নিজস্ব প্র্রতিনিধি,চন্দনাইশঃঃ চন্দনাইশের একটি এসএসসি কেন্দ্রে ২ ঘন্টা পরে গণিত প্রশ্ন পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এস.এস.সি পরীক্ষার গণিত পরীক্ষায় চন্দ-২ চন্দনাইশ সদরস্থ ফাতেমা জিন্নাহ্ বালিকা বিদ্যালয় ও কাসেম মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১’শ পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন পাওয়া যায় ২’শ ১৭টি।

ফলে পরীক্ষা চলাকালীন শিক্ষার্থীদের নৈব্যর্ত্তিক পরীক্ষার প্রশ্ন সঠিকভাবে থাকলেও রচনামূলকে প্রশ্ন সংকটের কারণে ফাতেমা জিন্নাহ্ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১ টা ১০ মিনিটে এবং কাসেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয়ে ১২টা ৫ মিনিটে পার্শ্ববর্তী কেন্দ্র থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ, ফটোকপি করে পরীক্ষা শুরু করা হয়।

জানা যায়, ফাতেমা জিন্নাহ্ বালিকা বিদ্যালয়ে ৫৪৩ জন ও কাসেম মাহবুব উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৫৭ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। তৎমধ্যে ৭ জন অনিয়মিত পরীক্ষার্থী আছে। অনিয়মিত পরীক্ষার্থীর প্রশ্ন সঠিক পাওয়া গেলেও নিয়মিত ১০৯৩ জন পরীক্ষার্থীর জন্য প্রশ্ন পাওয়া যায় মাত্র ২১০টি।

ফাতেমা জিন্নাহ্ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কেন্দ্র সচিব মো. ওসমান বলেছেন, বোর্ড থেকে রচনামূলক প্রশ্নের যে ৫টি প্যাকেট দেয়া হয়েছে ১টি প্যাকেট ছাড়া বাকি সব প্যাকেটে ভিতরে অন্যপ্রশ্ন থাকায় বিষয়টি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বোর্ড কর্তৃপক্ষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।

প্রশ্নপত্র না পেয়ে বসে আছে পরীক্ষার্থীরা
প্রশ্নপত্র না পেয়ে বসে আছে পরীক্ষার্থীরা

বোর্ড কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ভিন্ন প্রশ্ন গুলো সীলগালা করে রাখা হয়। তাছাড়া ২’শ ১০টি প্রশ্নসহ বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে ফটোকপি ও পার্শ্ববর্তী কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে ফাতেমা জিন্নাহ্ বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১১টা ১০ মিনিট এবং কাসেম মাহাবুব উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১২টা ৫ মিনিটে রচনামূলক প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লূৎফুর রহমান বলেছেন, রচনামূলক প্রশ্নের প্যাকেটে অন্য প্রশ্নপত্র থাকার কারণে বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ফটোকপি এবং পার্শ্ববর্তী কেন্দ্র থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করে পরীক্ষা শুরু করা হয়েছে।

দেরিতে রচনামূলক পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়ায় শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা চরম উৎকণ্ঠা, উদ্বিগ্নভাবে সময় কাটাতে দেখা গেছে। তবে শিক্ষার্থীরা শান্ত ছিল। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.