চন্দনাইশের শীলঘাটা-ধোপাছড়ির একটি সেতু এলাকাবাসীর দাবী

0

মো.দেলোয়ার হোসেন,চন্দনাইশ :: উপজেলার দুর্গম পাহাড়ী এলাকা ধোপাছড়ি বাজার ও সাতকানিয়ার শীলঘাটা এলাকার মধ্যবর্তী  শঙ্খনদী।  নদীর দুই পাড়ের মানুষ ব্যবসা বার্ণিজ্য ও সামাজিক কার্যক্রমে নদী পাড় হতে হয়। কতো কাছের মানুষ কিন্তু নদীর কারণে একে অপরের কাছে যেতে পারছে না। মাঝখানের শঙ্খনদীই যেন তাদের আলাদা করে রেখেছে। এ দুই এলাকার বাসিন্দাদের একমাত্র চাওয়া নদীর উপর  একটি সেতু।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিদিন শত শত মানুষ ধোপাছড়ি শীলঘাটা দিয়ে নৌকা দিয়ে নদী পার হচ্ছে। প্রতিবার প্রতিজনকে নদী পার হতে দিতে হচ্ছে ৫ টাকা। মালামাল নিয়ে পার হতে হলে দুভোর্গের যেন শেষ নেই।

স্থানীয়দের মতে স্বাধীনতা পর থেকে এ ঘাটটি লোকজনকে পার করিয়ে দেয়ার জন্য জেলা পরিষদের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়। চলতি বছরেও ৬ লক্ষ টাকা নিলামে উঠেছে।

স্বাধীনতার পর থেকে বিপুল পরিমান অর্থ এ ঘাটে আদায় হলেও যাতায়াতকারী মানুষের সুভিধার্থে এখনো সেতু নিমার্ণের কোন পরিকল্পনা গ্রহন করা হয় নাই। অথচ শঙ্খনদীর উত্তর পাড়ে ধোপাছড়িতে রয়েছে পূনাঙ্গ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, সাঙ্গু ও ধোপাছড়ি বনভিট, স্বাস্থ্যকেন্দ্র,মাধ্যমিক বিদ্যালয়,সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ইউনিয়ন পরিষদসহ অসংখ্যা স্থাপনা।

স্থানীয়দের দাবী দীর্ঘদিনের শঙ্খনদীর উপর এ এলাকায় একটি সেতু। সেতুটি হলে বিদ্যালয়ের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী,১০গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ,সে সাথে এসব গ্রামে উৎপাদিত ফসলের নায্য মূল্য  পাবেন কৃষকেরা। তাদের মতে এখানে সেতু নিমার্ণ করা হলে ধোপাছড়ির অবকাঠামো উন্নয়নের পাশা-পাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমল পরিবর্তন আসবে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যবৃষ্টিত ইউনিয়নটি পর্যটন এলাকায় রূপান্তরিত হবে। স্থানীয় জন প্রতিনিধিরা বলেন, স্বাধীনতার পর অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছেন। ধোপাছড়ির উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান সংস সদস্য আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম চৌধুরীর প্রচেষ্টায় ধোপাছড়ির সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়েছে। সে সাথে এ সেতুটি নিমার্ণ হলে শীলঘাটা বাসীর সাথে ধোপাছড়ির মহা মিলনে পরিণত হবে।

ধোপাছড়ির পূরানগর ইউনিয়নে ২০ সহস্রাধিক মানুষ সেতুর অভাবে কাছাকাছি থেকেও সরাসরি যোগাযোগ বিছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। ফলে ২ ইউনিয়নের বাসিন্দাদের বছরের পর বছর নৌকাযোগে শঙ্খনদী পাড়ি দিতে হয়।

বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে যখন পাহাড়ি ঢল নামে তখন তীব্র স্রোতের মুখে এ এলাকার মানুষের চরম বিপদ সংকুল পরিবেশে নদী পাড়ি দিতে হয়। শিক্ষা প্রতিষ্টানে পড়–য়া শিক্ষার্থীরা পড়ে দুভোর্গে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.