সৌদিতে সেনা প্রধান বরখাস্ত, প্রথম নারী মন্ত্রী নিয়োগ

0

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃঃ  সৌদি আরবের মন্ত্রীসভায় প্রথম নারী অন্তর্ভূক্তিসহ বড়ধরনের প্রশাসনিক রদবদল ঘটিয়েছেন বাদশাহ সালমান।তামাদার বিনতে ইউসুফ আল রামাহ নামে এক নারীকে নিয়োগ দিয়েছেন শ্রম এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী হিসেবে।

মধ্যরাতে সেনা প্রধানসহ বেশ কয়েকজন ঊচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত সোমবার মধ্যরাতে বাদশাহ সালমানের নামে কয়েকটি রাজকীয় ডিক্রি জারির মাধ্যমে সামরিক পদে রদ বদল আনা হয়েছে। খবর বিবিসি।

বাদশাহ সালমান দেশটির সেনাপ্রধানকে বরখাস্ত করার পাশাপাশি বিমান বাহিনী, পদাতিক বাহিনী এবং বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রধানের পদে রদবদল করেছেন। প্রধান কর্মকর্তাদের বরখাস্তের পর ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে এসব সামরিক পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) এক খবরে সেনা প্রধানসহ ঊচ্চ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্তের খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে তাদের কি কারণে বরখাস্ত করা হয়েছে সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।

নতুন করে বেশ কয়েকজন নতুন উপমন্ত্রীকেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শ্রম এবং সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে উপমন্ত্রী হিসেবে তামাদার বিনতে ইউসুফ আল রামাহ নামে এক নারীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সৌদি জোটের লড়াইয়ের তিন বছর পূর্তির ঠিক আগেই দেশটির সামরিক বাহিনীতে এই রদবদলের ঘটনা ঘটলো। কয়েক বছর ধরেই ইয়েমেনে সৌদি জোট বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে।

দেশটির বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন সালমানই রাজকীয় এসব সিদ্ধান্তের পেছনে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত বছরের শেষ দিকে ক্রাউন প্রিন্সের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানেই দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে সৌদির প্রভাবশালী, প্রিন্স, মন্ত্রী এবং ব্যবসায়ীদের আটক করা হয়। তাদের রিয়াদের পাঁচ তারকা হোটেল রিটজ কার্লটনে বন্দী করে রাখা হয়।

বাদশাহ সালমানের নামে ডিক্রি জারি করা হলেও ক্ষমতার প্রতীক হিসাবে পরিচিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় এ ধরনের রদবদলের পেছনে বাদশাহ পুত্র এবং তার পরবর্তী উত্তরাধিকারী প্রিন্স সালমানের হাত রয়েছে বলে ইতোমধ্যেই গুঞ্জন উঠেছে। এসব কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ক্রাউন প্রিন্স আরও একবার নিজের একচ্ছত্র ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করলেন।

ইয়েমেনে সৌদি জোটের অভিযানও যুবরাজের সিদ্ধান্তেই হয়েছিল। তবে তার ওই সিদ্ধান্ত ব্যর্থ হয়েছে। নিজের বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি পরিষ্কার বুঝিয়ে দিয়েছেন যে, দেশটির প্রচলিত অনেক রীতিনীতি তিনি ভাঙ্গতে চলেছেন।

প্রিন্স তুর্কি বিন তালালকে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি ধনকুবের প্রিন্স আলওয়ালেদ বিন তালালের ভাই। ক্রাউন প্রিন্সের নেতৃত্বে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে আলওয়ালেদ বিন তালালকে আটক করা হয় এবং দু’মাস পরে অর্থের বিনিময়ে মুক্তি পান তিনি। বাদশাহ সালমান সৌদি রাজতন্ত্রের হাল ধরে সবকিছুতেই পরিবর্তন আনছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.