চন্দনাইশে ধানি জমি থেকে অবাধে কাটছে মাটি
চন্দনাইশ প্রতিনিধি, সিটি নিউজঃঃ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ধানি জমি থেকে টপ সয়েল কেটে নিলেও প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরব। পৌরসভার মহাজন ঘাটা এলাকায় লিজ নেয়া জমি থেকে অবাদে স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কাটলেও দেখার যেন কেউ নেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বিল থেকে অবাধে টপ সয়েল কেটে নিলেও প্রশাসন কি এক অজানা কারণে নিরব রয়েছে। প্রতিদিন শত শত ডাম্পার ট্রাক ভর্তি করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাটি নিয়ে যাচ্ছে অবৈধ মাটি ব্যবসায়ীরা। সে সাথে জমির মালিককে কোন রকম অবহিত না করে মাটি নিয়ে যাওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। মাটি কাটার ক্ষেত্রে সরকারি দল ও বিএনপি, এলডিপি’র নেতা কর্মীদের সাথে রয়েছে অন্তমিল।
পৌরসভার মহাজন ঘাটা সংলগ্ন শহীদ মুরাদুল আলম সড়কের পাশে প্রকাশ্যে প্রশাসনের চোখের সামনে দিন দুপুরে লিজ নেয়া জমি থেকে অবাধে স্ক্যাভেটর দিয়ে মাটি কাটলেও প্রশাসন সম্পূর্ণ নিরব রয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান বলেছেন, উল্লেখিত জমিতে কিছু অংশ মালিকানাধীন রয়েছে। লিজ নেয়া অংশে মাটি কাটছে কিনা তিনি দেখবেন। তিনি বলেন, ১’সনা লিজ নেয়া জমির রূপ পরিবর্তণ করা যাবে না।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাটি ব্যবসায়ীরা জানান, পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা মাটি কাটছে। এজন্য মাসোহারা দিতে হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। অন্যাথায় সরকারি খাস জমি লিজ নিয়ে মাটি কেটে সাবাড় করে দিবে।
তাছাড়া চন্দনাইশের ধানি জমির টপসয়েল কেটে উৎপাদন ব্যাহত করবে। উল্লেখ্য যে, ২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইশরাত রেজার সময়কালীন এভাবে কেউ মাটি কাটার সাহস পায়নি। তার লাল গাড়ি দেখলেই পালাত ডাম্পার গাড়ীর চালকেরা। এখন সে দৃশ্য আর চোখে পড়ে না। মাটি ব্যবসায়ীরা ধানি জমির টপসয়েল ও ইজারা নেয়া জমির মাটি কেটে ব্যবসা করছে দেদারছে।