‘সেলিমের ক্যাসিনোর টাকা লন্ডনে যেত’
সিটি নিউজ ডেস্ক : অনলাইন ক্যাসিনো জুয়ার কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার ব্যবসায়ী সেলিম প্রধানের বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা সমমূল্যের বিদেশি মুদ্রা, বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৯ লাখ টাকা ও মদ উদ্ধার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার গুলশান-২ নম্বরে অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধানের বাড়ির নিচতলায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম।
তিনি বলেন, সেলিম বর্তমানে কারাগারে থাকা ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের ক্লোজ ফ্রেন্ড (ঘনিষ্ঠ) ছিলেন। তিনি মামুনকে একটি বিএমডব্লিউ গাড়িও উপহার দিয়েছিলেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন। এ ছাড়া সেলিম বিভিন্ন সময় লন্ডনে টাকা পাঠিয়েছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। কয়েকটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগে আমরা তাকে গ্রেপ্তার করি।
লন্ডনে তিনি কাকে টাকা পাঠাতেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে র্যাবের অধিনায়ক বলেন, ‘লন্ডনে কোথায় পাঠাতেন, সমীক্ষা করে জানাব।’
কি পরিমাণ টাকা লন্ডনে পাচার হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা গেটওয়ে থেকে প্রতি মাসে ৯ কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পেয়েছি। এমন আরও কিছু গেটওয়ে রয়েছে, সেগুলো আমরা যাচাই করে দেখছি।
তারেক রহমানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে শোনা গেছে, লন্ডনে পাচারকৃত টাকা তারেক রহমানের কাছে যেত কিনা জানতে চাইলে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখবো।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকালে থাইল্যান্ড যাওয়ার পথে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তাকে নিয়ে রাতে তার অফিস ও বাসায় শুরু হয় অভিযান। র্যাবের তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরাও এ অভিযানে অংশ নেন।
দীর্ঘ অভিযান শেষে র্যাব-১ অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাশেম মঙ্গলবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সেলিম প্রধানের গুলশানের অফিস ও বাসা থেকে জব্দ করা হয়েছে ৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা, সাতটি ল্যাপটপ, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকা মূল্যমানের ২৬টি দেশের বিদেশি মুদ্রা এবং ৪৮ বোতল মদ।
আর সেলিম প্রধানের বনানীর অফিস থেকে জব্দ করা হয়েছে ২১লাখ ২০ হাজার টাকা। ওই অফিস থেকেই আক্তারুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সারোয়ার বিন কাশেম জানান।