স্বপ্ন ছিল কালুরঘাট ব্রিজটি তাঁর হাত ধরে হবে
চট্টগ্রাম,সিটি নিউজ : জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনুদ্দিন খান বাদলের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত ও মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি।
কালুরঘাট ব্রিজের নামকরণ বীর মুক্তিযোদ্ধা মাইন উদ্দিন খান বাদলের নামে নামকরণ করার প্রস্তাব নাগরিক সংগঠক জনাব যিকরু হাবিবীল ওয়াহেদের ।
কালুরঘাট ব্রিজ বহুল প্রত্যাশিত খুব জরুরি একটি ব্রিজ। প্রায় ৫০ লক্ষ মানুষের যাতায়াত এবং নদীপথে পারাপারের জন্য অনেকটা অন্যতম মাধ্যম।
ব্রিজটি ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক সে সময় নির্মিত হওয়ায় সেতুটি ইতিমধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে পড়েছে। তাছাড়া বেশ ঝুঁকি নিয়ে মানুষ এবং গাড়ি পারাপার করছে।
এ ঐতিহাসিক ব্রিজটির অবস্থান চট্টগ্রামের বোয়ালখালী আসনে।
বোয়ালখালী-আংশিক চাঁন্দগাও আসনের এমপি জনাব মাঈন উদ্দিন খান বাদল বোয়ালখালী ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণের জন্য আমৃত্যু লড়ে গেছেন।
অনেকটা অভিমান করে সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন- ডিসেম্বর-১৯ এ কাজ শুরু না হলে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন।
কিন্তু পরিতাপের ব্রিজটির কাজ শুরু হওয়ার আগেই সাংসদ মাঈন উদ্দিন খান বাদল মৃত্যু বরণ করেন।
যাঁর আমৃত্যু স্বপ্ন ছিল কালুরঘাট ব্রিজটি তাঁর হাত ধরে হবে।এরই প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন- জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঈন উদ্দিন খান বাদলের নামে কালুরঘাট ব্রিজের নামকরণ করে স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন বীর সন্তান এবং কালুরঘাট ব্রিজের জন্য আমৃত্যু লড়ে যাওয়া মানুষটিকে স্মরণীয় করে রাখবার জন্যে।
উল্লেখ্য,চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের সংসদ সদস্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দীন খান বাদল চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে নারায়ণ হৃদরোগ রিচার্স ইনইস্টিউট অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি…… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংসদ বাদলের ছোট ভাই মনির খান জানান, দুই বছর আগে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে গুরুতর অসুস্থ ছিলেন বাদল। হার্টেরও সমস্যা ছিল। দুই সপ্তাহ আগে নিয়মিত চেকআপের জন্য তাকে ভারতে নেওয়া হয়। ১৮ অক্টোবর থেকে প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির তত্ববধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।