চট্টগ্রামে জুলুছের গাড়ির জেনারেটরে দগ্ধ শিশুদের পাশে মানবাধিকার নেতৃবৃন্দ
সিটি নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুছের একটি ট্রাকে জেনারেটর থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ছয় শিশু- কিশোরের চিকিৎসায় পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন।গত রোববার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর লালখান বাজার মোড়ে এ দুর্ঘটনা গাড়ির জেনারেটর বিস্ফোরণে শিশুসহ ৬ জন আহত হয়, এর মধ্যে তিনজন চমেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে গাড়ির জেনারেটর বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ শিশুসহ আহতদের দেখতে গিয়েছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু।
সোমবার (১১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন আঞ্চলিক শাখার পক্ষ থেকে চিকিৎসাধীন তিনজনের মায়ের হাতে ১৫ হাজার টাকার সহায়তাও তুলে দিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্নর আমিনুল হক বাবু বলেন, বর্তমানে তিনজন চমেক হাসপাতালে ভর্তি আছে, যার মধ্যে দুইজন শিশু। একজনের পুড়ে গেছে ৪০ শতাংশ আর বাকি দুইজনের পুড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। তার মধ্যে একজন আবার জেএসসি পরীক্ষার্থী।
তিনি বলেন, শিশুদের যন্ত্রণার করুণ দৃশ্য দেখলে সবার চোখে পানি চলে আসবে। আমরা তাদের যে অর্থ সহায়তা দিয়েছি সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অল্প। এই অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সবার প্রতি অনুরোধ করছি।
আমিনুল হক বাবু আরো বলেন,এটা নিছক দূর্ঘটনা,অগ্নিদগ্ধ গাড়িতে জুলুছের নীতিমালা না মেনে জেনারেটর এবং সাউন্ড সিস্টেম বহন করছিলো।যাই হোক দূর্ঘটনা তো বলে আসে না।যাদের পক্ষে সম্ভব বিশেষ করে সুন্নীয়তের ভাইদের এদের পাশে থাকার অনুরোধ থাকলো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন বৃহত্তর চট্টগ্রাম আঞ্চলিক শাখার সদস্য শফিকুল আলম এবং চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ শাখার সভাপতি নওশাদ চৌধুরী মিটু।