এইচ.এম.সাইফুদ্দীন, ফটিকছড়ি ::ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের পানিতে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। পানির স্রোতে হালদা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নাজিরহাট-রামগড় সেকশন-১ সড়ক ও গহিরা-হেঁয়াকো সড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়ক ভেঙ্গে যাবার কারনে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়ছে হাজারো মানুষ।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পাহাড়ী ঢল ও অভিরাম বর্ষনের কারনে উপজেলার দাঁতমারা, নারায়নহাট,পাইন্দং,কাঞ্চননগর, হারুয়ালছড়ি, সুয়াবিল, নাজিরহাট পৌর এলাকা, রোসাংগিরী, নানুপুর, লেলাং, বক্তপুর, ধর্মপুর, সমিতিরহাট, জাফতনগর, আবদুল্লাহপুর ও সুন্দরপুর ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম পানিতে নিমজ্জিত। সে সাথে ইউনিয়ন গুলোর উপর দিয়ে প্রবাহিত হালদা নদী, ধুরুং, লেলাং, মানাইছড়ি, কুতুবছড়ি,বারমাসিয়া, ফটিকছড়ি,হারুয়ালছড়ি, গজারিয়া, শোভনছড়ি,রক্তছড়ি, সর্তা ও তেলপারাই খালের পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় পূর্বের ভাঙ্গা বেঁরী বাধ ও গত মাসে পর পর ৩ বারের বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীন সড়ক গুলো ডুবে যাবার কারনে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সে সাথে কৃষকের আমনের বীজ তলার পূন:রায় ডুবে রয়েছে।
অপরদিকে উল্লেখিত নদী ও খালের দু’দিকের বাধেঁর বিভিন্ন স্থানে নতুন করে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।বিলীন হয়ে যাচ্ছে কার্পেটিং সড়ক, ব্রীক সলিন সড়ক ও গ্রামীন রাস্তা গুলো। ফলে আতঙ্ককে মধ্যে জীবন যাপন করছে হাজারো মানুষ।আর হাজারো পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে।
এদিকে নাজিরহাট পৌর সদর হালদা নদীর পুরাতন ব্রীজের পশ্চিম দিক হতে কয়েক বছর আগে জাইকা’র অর্থায়নে নাজিরহাট- রামগড় সেকশন ১ সড়ক নির্মাণ করা হলে ও সে সড়কটি নাজিরহাট এলাকার কিছু অংশ গতকাল (৪ জুলাই) হালদা নদীতে বিলীন হয়ে যাবার কারনে যান বাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।
গত মাসের বন্যায় সড়কটির পাশের মাটি সরে গেলে ও রক্ষার জন্য কেউ এগিয়ে না আসার কারনে এখন বিলীন হয়ে গেছে। তাছাড়া ফটিকছড়ির উপর দিয়ে যাওয়া গহিরা-হেয়াকো সড়কের উপজেলার লেলাং ইউনিয়নের শাহ নগর এলাকায় পানির স্রোতে বিলীন হয়ে যাবার কারনে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। উপজেলা সদরের সাথে কাঞ্চননগর,পাইন্দং ও ফটিকছড়ি পৌর এলাকার হাজারো মানুষের যোগাযোগের অন্যতম সড়কের চেঙ্গার কুল নামক স্থানে চেঙ্গা খালের পাকা সেতুটি পানির স্রোতে ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে সব ধরনের চলাচল বন্ধ রয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপক কুমার রায় বলেন,গত মাসে ৩ বারের বন্যায় ফটিকছড়িতে কয়েক শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সে ক্ষতির ক্ষত থাকা অবস্থায় আবারো বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। তবে উপজেলার স্ব-স্ব ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের কে জন গনের পাশে থেকে সার্বিক অবস্থা জানাতে বলা হয়েছে।