মহিউদ্দিন চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামবাসীর প্রাণের নেতাঃ আমীর হোসেন আমু
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজঃঃ আওয়ামীলীগে প্রেসিডিয়ামের সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, মহিউদ্দিন চৌধুরী জাতীয় রাজনীতির পাশাপাশি স্থানীয় রাজনীতি আঁকড়ে ধরে ভালোবাসা ও সমর্থন দিয়েছেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে তার বিচরণ ছিল। এর মধ্য দিয়ে মানুষের সাথে তার আত্মার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
তিনি নওফেলের বক্তব্য শুনে বলেন, নেত্রী তাকে ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন। এখানকার যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাত, এখানকার যে পরিস্থিতি- শান্ত করবার মত একটি লোক আপনারা পেয়েছেন। পরিস্থিতি ঘোলা না করে শান্তিপূর্ণভাবে সবকিছু সমাধান করবার মানসিকতা, চিন্তা চেতনা তার রয়েছে।
তিনি সবার উদ্দেশ্যে বলেন, আমি চাই শুধু নওফেল নয়, আপনারা সবাই মহিউদ্দিন চৌধুরী হন। কেবল চট্টগ্রামের স্বার্থ নয়, জাতীয় স্বার্থও রক্ষা করুন।’
তিনি বলেন, সদ্য প্রয়াত নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীই চট্টগ্রামের একক নেতা, চট্টগ্রামের প্রাণের নেতা। মহিউদ্দিন চৌধুরীকে যারা ভুল বুঝেছিল তাঁর মৃত্যুর পর এখন তাদের ভুল ভেঙেছে।
তিনি আজ বুধবার (১৪ ফ্রেব্রুয়ারী ) বিকেলে নগরীর একটি কনভেনশন সেন্টারে আওয়ামী লীগ চট্টগ্রাম মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর স্মরণে অনুষ্ঠিত শোক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
নগর কমিটির প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম,
যুগ্ম সম্পাদক এম এ রশিদ, রেজাউল করিম চৌধুরী, শ্রমিক লীগ সভাপতি বখতেয়ার উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী এটলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মশিউর রহমান চৌধুরী, যুবলীগ আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী তার বক্তব্যে আরও বলেন, দুইবার ক্ষমতায় থাকলে ষড়যন্ত্র কমে না, বরং আরও বাড়ে। দেশের যারা শক্র শেখ হাসিনা তাদের চক্ষুশূল। শেখ হাসিনাকে যে বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে তা ব্যক্তিগত কারণে নয়, রাজনৈতিক কারণে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন যে মর্যাদাপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে, একাত্তরের পরাজিত শক্তি, বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকারী সেই অপশক্তি এটা চায় না। তারা চায় শেখ হাসিনাকে হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে পিছিয়ে দিতে।
তিনি আরো বলেন, নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য থাকলেও দল ও জাতীয় স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের মধ্যে মত পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু তার অর্থ এই নয়, যে জাতীয় স্বার্থের বেলায় আমরা একে অপরের ক্ষতি করার চেষ্টা করব।
সবাইকে এই মনোবৃত্তি অবশ্যই পরিহার করতে হবে। শেখ হাসিনার জীবন রক্ষা এবং তার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নেয়ার স্বার্থে। সবকিছু ভুলে গিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আগামী একটি বছর আমাদের কাজ করতে হবে।