সিটি নিউজ ডেস্কঃঃ দীর্ঘ ১০ বছর পর আবার বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা আজ আদালতে উঠল। ২০০৮ সালে এ মামলা দায়ের করা হলে একই বছর ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। আজ ধার্য দিনে আসামীরা হাজির না থাকায় শুনানির তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন আদালত।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার আজ অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ছিল। আগামী ২৫ মার্চ এ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত। সেই দিন সব আসামিকে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারী ) পুরান ঢাকার বকশীবাজারে অবস্থিত ২ নং বিশেষ জজ হোসনে আরা বেগম এই দিন নির্ধারণ করেন। এই আদালতে অভিযোগ গঠনের জন্য আজ দিন নির্ধারিত ছিল।
কিন্তু মামলার আসামি ব্যারিস্টার আমিনুল ইসলামের পক্ষে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকায় অভিযোগ গঠন পেছানোর সময়ের আবেদন করেন আইনজীবী। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে সব আসামিকে আগামী ২৫ মার্চ আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
খালেদা জিয়ার অন্যতম প্যানেল আইনজীবী জয়নুল আবেদীন মেজবাহ জানান, খালেদা জিয়াকে জেল থেকে কারা কর্তৃপক্ষ আজ আদালতে হাজির করেনি।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন—সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক কৃষিমন্ত্রী এম কে আনোয়ার, সাবেক তথ্যমন্ত্রী এম শামসুল ইসলাম, মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল আলতাফ হোসেন চৌধুরী,
হোসাফ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক পরিচালক মুঈনুল আহসান, সাবেক জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী ব্যারিস্টার মো. আমিনুল হক।
মামলার সুত্র থেকে জানা যায়, ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ওই বছরের ৫ অক্টোবর পুলিশ তদন্ত করে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন।