চট্টগ্রাম অফিস : পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে দেশের সর্ববৃহৎ ভোগ্যপণ্যের পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জ পরিদর্শন করেছেন ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম ইকবাল।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টায় বাজার পরিদর্শনে আসেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবুল হোসেন। বাজার পরিদর্শনের আগে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন টিসিবি চেয়ারম্যান।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ছগীর আহমেদ বলেন, বেনাপোল, হিলি, পোমরা ও তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়। এসব বন্দর দিয়ে যারা আমদানি করেন তারাই দাম নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত দামে কিনে এনে ৩০ পয়সা কমিশনে এখানকার ব্যবসায়ীরা বিক্রি করে।
এছাড়া পেঁয়াজ আনার জন্য অতিরিক্ত ফেরি ভাড়া, গাড়ির টায়ারের বাড়তি দাম, পথে পথে হয়রানি এবং পুলিশের চাঁদাবাজির প্রভাব পেঁয়াজের বাজারে পড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এক ট্রাক পেঁয়াজ আনতে পুলিশকে দুই হাজার টাকা দিতে হয়। ফেরিগুলো তিনগুণ ভাড়া আদায় করে। এর প্রভাব পড়ে পেঁয়াজের ওপর। এসব বিষয় যদি নিয়ন্ত্রণ করা গেলে পেঁয়াজের দাম অনেক কমে আসবে।
কাঁচামাল আমদানিতে ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে চায় না অভিযোগ করে সগির আহমেদ বলেন, ফলে ব্যবসায়ীরা কাজের আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। মায়ানমার থেকে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে টেকনাফ বন্দর ব্যবহার না করে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে টিসিবি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, বাজারে পেঁয়াজের সংকট নেই। এরই মধ্যে দাম করতে শুরু করেছে। পেঁয়াজের দাম নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আগামী এক সপ্তার মধ্যে পেঁয়াজের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
টিসিবি চেয়ারম্যান বলেন, সোমবার ৬৮ থেকে ৭০টাকায় বিক্রি হলেও মঙ্গলবার ৬০ থেকে ৬২ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। শিগগির সহনীয় পর্যায়ে আসবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে চাক্তাই শিল্প ও ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. জামাল হোসেন, হামিদুল্লাহ বাজার সমিতির সভাপতি নুরুল আলম, সহসভাপতি আবসার উদ্দিন, নুর হোসেন, আবদুল আলীম, মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া, মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল সভায় বক্তব্য রাখেন।