চট্টগ্রামে বেপরোয়া ছাত্রলীগঃ উত্তর জেলা সম্মেলনও পন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক, সিটি নিউজঃঃ চট্টগ্রামে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনও বোমাবাজি ও মারামারিতে পন্ড হয়ে গেছে। আজ মঙ্গবার (২৭ ফেব্রুয়ারি ) চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ার ইনষ্টিটিউটে উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন শুরুর ১ঘন্টার মধ্যে পন্ড হয়ে যায়।
বেলা সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়িার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।
গতকাল লালদিঘী ময়দানে মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোক সভায় বেপরোয়া ছাত্রলীগ গন্ডগোল, হাতাহাতি, চেয়ার ছোড়াছুড়ি করার একদিন পর আজ ইঞ্জিনিয়ার ইনষ্টিটিউট হলেও উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে একই ঘটনা ঘটলো।
সম্মেলনে উপস্থিত এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ছাত্রলীগের কোন চেইন অব কমান্ড নেই। তারা কারও কোন কথা শোনেন না। কাকে কে ল্যাং মারবে এই চিন্তায় ব্যস্ত। এঘটনা ঘটতে থাকলে দলেরও বারোটা বাজবে। ছাত্রলীগের উন্মত্ততার লাগাম টেনে না ধরলে ভবিষ্যতে খবর আছে।
জানা যায় বেলা সোয়া ১২ টার দিকে বিকট শব্দে অনুষ্ঠানস্থলে দৌড়াদৌড়ি শুরু হয়ে যায়। এই বিশৃঙ্খলার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের কয়েকটি পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
এ সময় মিলনায়তনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টায় কয়েকজন পড়ে গিয়ে আহত হন। অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ ছাড়াও রাউজানের সংসদ সদস্য ফজলে করিম চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ হাছান মাহমুদ, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা এ সময় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ বারবার অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফেরানোর আহ্বান জানালেও কেউ কারও কথা শোনেনি। এক পর্যায়ে গণপূর্তমন্ত্রী মাইকে দাঁড়িয়ে বলেন, যারা এ হামলা করেছে তারা বহিরাগত। এরা সংগঠনের কেউ নয়।তিনি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন।
এতে আহত ও আঘাতপ্রাপ্ত পাঁচজনকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত সম্মেলনের কাজ শুরু করা না গেলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ অতিথিরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন। তবে বিকেলে সম্মেলনের ২য় অধিবেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব।