অবৈধ ট্রলার অনুপ্রবেশ রোধে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::মৎস্য প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সমুদ্রসীমা বিজয়ের পর তা থেকে সম্পদ আহরণ ও সংরক্ষণের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চলছে। সমুদ্র সম্পদকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা এবং মাছ সহ অন্যান্য সমুদ্র সম্পদ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করতে জাতীয় সামুদ্রিক মৎস্য নীতিমালা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ জুলাই)  চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে “সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত “সামুুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ, ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, নবায়নযোগ্য প্রাকৃতিক সম্পদ সামুদ্রিক মৎস্য সহনশীল পর্যায়ে আহরণ না করলে তা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং বঙ্গোপসাগর এক সময় Gulf of Thailand এর মতো মৎস্য শুণ্য হয়ে পড়বে। এ সমস্যা রোধকল্পে সরকার মৎস্য আহরণকারী ক্ষতিকর পদ্ধতির বটম ট্রলার সমূহকে মিডওয়াটারে পরিবর্তন, কাঠ বডির কোন ফিশিং ট্রলার নির্মাণ বা আমদানীর অনুমতি না দেয়া, ট্রলার প্রতিস্থাপনের অনুমতি না দেয়া প্রভৃতি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে ৬৬টি বটম প্রকৃতির ট্রলারকে মিডওয়াটার ট্রলারে রুপান্তর করা হয়েছে। এছাড়া সামুদ্রিক মাছের সঠিক পরিমাণ নির্ণয়ে আর.ভি মীন সন্ধানী জাহাজ বঙ্গোপসাগরে গবেষণা ও জরিপ কাজ শুরু করেছে। আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রাথমিক জরিপ কাজ সম্পন্ন হবে।

মৎস্য মন্ত্রী বলেন, মৎস্য আহরণে বিদেশি অবৈধ ট্রলার অনুপ্রবেশ রোধকল্পে বাংলাদেশ নৌবাহিনী কোস্ট গার্ডসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারী জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে বিশ্ব ব্যাংক এর অর্থায়নে Sustainable Coastal and Marine Fisheries Development Project এর মাধ্যমে উপকূলীয় ক্ষুদ্রায়তন মৎস্যজীবীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কল্পে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, সামুদ্রিক মৎস্য ট্রলার সংক্রান্ত অনিষপন্ন মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, নৌ বাহিনীর চট্টগ্রাম ফিøট কমান্ডার রিয়ার এডমিরাল এম আশরাফুল হক, বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমীন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ, জেলা প্রশাসক মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী, কোস্ট গার্ড পূর্ব জোন কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. শহিদুল ইসলাম, নৌ বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ হোয়াইট ফিস ট্রলার এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারীজ এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.