উখিয়ায় টানা বর্ষণে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দি

0

শহিদুল ইসলাম, উখিয়া(কক্সবাজার) : কক্সবাজারের উখিয়ায় টানা ৮ দিনের প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে যোগাযোগ ব্যাবস্হা সহ প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি ও ছয়শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি ও শতাধিক পানের বরজ পানির নিচে তলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এখনো পর্যন্ত উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন খোজ খবর নেননি বলে ক্ষতিগ্রস্হ’ পরিবার সূত্রে জানা গেছে। এতে মানুষের জন-জীবন বিপর্যয় হয়ে পড়েছে। পাশা-পাশি পালংখালী ইউনিয়নে নাফ নদীর পানি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে চিংড়ি ঘেরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এতে প্রায় কয়েক কোটি টাকার চিংড়ি মাছ পানির সাথে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন চিংড়ি চাষী আলতাফ মিয়া। বৃহস্পতিবার বিকাল ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের হরিণমারা, মাছকারিয়া, তুতুরবিল, ঘিলাতলী, হিজলিয়া, টাইপালং বটতলী কোনারপাড়া রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়া, কামারিয়ারবিল, পশ্চিম রত্নাপালং , সাদৃকাটা, ভালুকিয়া, ফয়েজা বাপের পাড়া।

জালিয়া পালং ইউনিয়নের ডেইলপাড়া, পাইন্যাশিয়া, সোনাইছড়ি, চরপাড়া, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চৌধুরী পাড়া, র“মখাঁ পালং, মহাজনপাড়া, বউ বাজার ও পালংখালী ইউনিয়নের উখিয়ারঘাট, বালুখালী, থাইংখালী রহমতের বিল ও আনজুমানপাড়া সহ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে মানুষের চরম ভোগান্তি হচ্ছে বলে তেলীপাড়া গ্রামের ৭০ বছরের বৃদ্ধা আলী আকবর জানিয়েছেন। এছাড়াও উখিয়ার ভুমি অফিস, খাদ্য গুদাম সহ সরকারি বেসরকারি সংস্হার অীফস গুলোতে পানি ঢুকে স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মিন্টু বলেন, তার এলাকায় কিছু কাচা-পাকা ঘর বিধ হয়েছে। এতে কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

জালিয়াপালংয়ের ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন চৌধুরী বলেন, টানা প্রবল বষর্ণের কারণে শ্রম জীবি মানুষের ভোগান্তি ভেড়েছে। পাশাপাশি পবিত্র রমজান মাঝে পল্লী বিদ্যুতের বিলকিবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। রত্নাপালং ইউপি চেয়ারম্যান নূর“ল কবির চৌধুরী বলেন, গ্রামীণ জনপদের রাস্তা ঘাট ভেঙ্গে কিছু কিছু এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। শীঘ্রই সড়ক গুলো মেরামত করার জন্য বরাদ্দের দাবী জানান। উখিয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বাকী বিল্লাহ ক্ষতিগ্রস্হ’ পরিবারবর্গদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে ১ টন চাউল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানান।

এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, বৈরি আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টির ফলে পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে উপজেলা প্রশাসন সতর্কতা অবলম্বন সহ যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। একই সাথে প্লাবিত গ্রামগুলোর খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.