‘কালো রাতে’ আলো জ্বালিয়ে নিকৃষ্টতম গণহত্যার ধিক্কার

গোলাম সরওয়ার: শুক্রবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সন্ধ্যায় ২৫ মার্চ ‘কালো রাত্রিতে’ শতাব্দীর নিকৃষ্টতম গণহত্যায় আলো প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শহীদদের স্মরণ করেন দেড় শতাধিক মানুষ।

শহীদদের স্মরণে আলো প্রজ্জ্বলনে সূচনা বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। এসময় তিনি বলেন, কালো রাতে ঘুমন্ত নিরীহ মানুষের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বর্বর গণহত্যা চালাতে শুরু করে। নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অতর্কিতে গুলি চালায় তারা। নারী-শিশু কেউ রেহাই পায়নি। যেখানে যাকে যেভাবে পেয়েছে খুন করেছে তারা।

তিনি বলেন, বাঙালি স্বাধীনতা চেয়েছিল। তারা জানতো স্বাধীনতা সহজে পাওয়া যাবে না। কিন্তু পাকিস্তানি বাহিনী এভাবে বাঙালির ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড চালাবে তা ধারণার বাইরে ছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার কারণে বাঙালি স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছে।

কালো রাতের গণহত্যার প্রতি ঘৃণা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আলো জ্বালানোর মাধ্যমে আমরা ধিক্কার জানাচ্ছি, পাকিস্তানি বর্বর বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে। ধিক্কার জানাচ্ছি, তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আল-বদরকে। নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা দানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে সোনার বাংলা গড়ার দাবি জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবদুল জলিল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুমিনুর রশিদ, সহকারী কমিশনার আনিসুল ইসলাম তামিম আল ইয়ামিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির নির্বাহী কমিটির সদস্য জেসমিন সুলতানা পারু, জেলা কালচারাল অফিসার মোসলেম উদ্দিন সিকদার।

জেলা শিল্পকলা একাডেমি ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, চট্টগ্রাম থিয়েটার ফোরাম, সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থা, ভিশন প্যান্টোমাইম, প্রমা আবৃত্তি সংগঠন, নরেন আবৃত্তি একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীরা।

এ বিভাগের আরও খবর

Comments are closed.