গণতন্ত্র রক্ষা দিবসে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ

0

নিজস্ব প্রতিনিধি :  নগরীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস পালন করেছে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩য় বর্ষপূর্তিতে দিনটিকে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসেবে পালনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নিয়ে শুরু করেন নগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। জনসমাবেশ মঞ্চ থেকে প্রথমে পরিবেশন করেন গণসঙ্গীত। নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা জনসমাবেশে উপস্থিতিত ছিলেন।

এরপর সমাবেশ দুপুর পৌনে ১ টায় শেষ হয়।সমাবেশ উপলক্ষে শহীদ মিনারের সামনের সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। তবে কাঙ্ক্ষিত উপস্থিতি না থাকায় সমাবেশ মঞ্চের সামনে ছাড়া পুরো সড়কই ছিল ফাঁকা।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যদের মধ্যে মাত্র একজন সাংসদ উপস্থিত ছিলেন সমাবেশে। তিনি হলেন সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ বেগম সাবিহা নাহার মুসা। হাতোগোণা দুয়েকটি ওয়ার্ড ও থানা থেকে মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন।

ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে শুধুমাত্র ওমরগণি এমইএস কলেজ এবং সিটি কলেজ থেকে পৃথক দুটি মিছিল সমাবেশস্থলে আসে। নগর যুবলীগের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু উপস্থিত থাকলেও ওয়ার্ড-থানা থেকে আসেনি যুবলীগের কোন মিছিল।

বক্তব্য দিতে গিয়ে মাত্র একজন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি নিয়ে প্রথমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা অনেককে এমপি বানিয়েছেন। আজকে দলের এত গুরুত্বপূর্ণ একটা কর্মসূচি, মাত্র একজন ছাড়া আর কোন এমপি আসেননি।

সাংসদ সাবিহা মুসাকে উদ্দেশ্য করে সুজন বলেন, একজন এমপিও আসেননি, আপনি এসেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।মেয়র বলেন, আমরা যারা দল করছি, কে কোন পদে আছি সেটা বড় কথা নয়। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করতে হবে। অনেকে পদে আছেন অথচ দায়িত্ব পালন করেন না। দলের সভা-সমাবেশে আসেন না।

‘আমাদেরও তো কাজ থাকে। আমরাও তো বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করি। অথচ আমরাই সভা-সমাবেশে উপস্থিত থাকি। আমরা পারলে আপনারা পারবেন না কেন ? পদ নিয়ে বসে থাকবেন, সভা-সমাবেশে আসবেন না, এটা হবে না। শুধু মহানগরের কথা বলছি না, তৃণমূলের ওয়ার্ড-ইউনিটের নেতাকর্মীদের কথাও আমি বলছি। ’ বলেন নাছির।

তিনি পদধারী নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যদি দলকে ভালবাসেন, জাতির জনকের প্রতি যদি আপনাদের চুল পরিমাণ শ্রদ্ধা-আস্থা থাকে, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি যদি আপনাদের বিন্দুমাত্র সম্মান থাকে তাহলে দায়িত্ব পালন করুন। অন্যথায় সসম্মানে অব্যাহতি নিন। পদ ছেড়ে দিন।

মেয়র বলেন, কিছুদিন পর কার্যকরী কমিটির সভা ডাকব। যারা পদ নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন না, তাদের সম্মানজনকভাবে পদ থেকে বিদায় দেব। আর যারা সংগঠনের পেছনে সময়, শ্রম দিচ্ছেন তাদের পদে মূল্যায়ন করব।

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার চলাফেরা করতে কষ্ট হয়। তবুও আমি সব সভা-সমাবেশে আসি। কষ্ট হোক, আমি বেঁচে তো আছি। যতদিন বেঁচে থাকব, দলের জন্য কাজ করে যাব। এখন দল ক্ষমতায়। সেজন্য অনেকে কর্মসূচিতে আসছেন না। তারা নিজের লাভের জন্য দল করছেন।

তিনি বলেন, দলের ভেতরে অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছে। অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। তারা দলের ভেতরে বিভেদ সৃষ্টি করে দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। ছাত্রলীগের কেউ যদি অপকর্ম করে কোন ছাড় দেব না।

নগর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, সংসদ সদস্য সাবিহা মুসা এবং সিডিএ চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক আবদুচ ছালাম।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.