সিটিনিউজবিডি : হতদরিদ্রদের জন্য ১০ টাকায় চাল বিক্রির ‘খাদ্যবান্ধব’ কর্মসূচিতে অনিয়মে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
বুধবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ৫০ লাখ মানুষের জন্য স্বল্পমূল্যে এ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি দেশে-বিদেশে সমাদৃত হচ্ছে।
এ কর্মসূচিতে আমাদের লোকজন অনিয়ম করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশন নিচ্ছি। অনিয়মে জড়িতদের কাউকে আমরা ছাড় দেব না। যেভাবে হোক এ কর্মসূচিকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হবে।
‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩’ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা শীর্ষক এক কর্মশালার উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কামরুল ইসলাম।
তিনি অনিয়মের খবর প্রকাশের জন্য গণমাধ্যমকর্মীদের ধন্যবাদ জানান।
অনিয়মে জড়িত নিজ দলের চেয়ারম্যান, মেম্বারদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ কর্মসূচিকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে অনিয়মে জড়িত নিজদলের লোকদের আমরা আইনের আওতায় আনছি।
পাশাপাশি যে ডিলারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত আমরা ৬৬ জনের ডিলারশিপ বাতিল করেছি। কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় অনিয়ম এখন কমে এসেছে বলেও দাবি মন্ত্রীর।
নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তি মানুষের মৌলিক অধিকার উল্লেখ করে কামরুল বলেন, এ জন্য প্রয়োজন গণসচেতনতা। আমরা পর্যায়ক্রমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সচেতনতা তৈরিতে কর্মশালার আয়োজন করব।
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে খাদ্য উৎপাদন ও বিপণনে জড়িতদেরও সচেতন করার ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. আবদুল ওয়াদুদ দারা, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. মাহফুজুল হক ও চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন।