ঢাকা প্রাতিনিধি : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার অনুষ্ঠিত কমিশন বৈঠকে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদ ভবনের মূল নকশা দ্রুত সংগ্রহের নির্দেশ দিয়েছেন।তিনি বলেছেন, এ কাজে কত টাকা লাগবে সেটা মূল বিষয় নয়, নকশা সংগ্রহ করতে হবে। বৈঠকে সংসদের মূল ভবনের প্রবেশমূখে নকশা প্রদর্শনীর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নকশা সংগ্রহের জন্য ৪ লাখ ৫৯ হাজার ডলার ব্যয়ের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়।
আগামী ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে জাতীয় সংসদের জন্য ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার বাজেট অনুমোদন দিয়েছে সংসদ সচিবালয় কমিশন। এর ফলে সংসদ সচিবালয়ের বরাদ্দ চলতি অর্থ বছরের তুলনায় প্রায় ১৬ কোটি টাকা কমছে। এ অর্থ বছরে মোট বাজেট বরাদ্দ ছিল ২১৯ কোটি টাকা।
বৈঠক শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের জন্য উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন খাতে ২০৩ কোটি ৭৮ লাখ ৪৩ হাজার টাকার প্রাক্কলিত বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে অনুন্নয়ন খাতে ১৯৭ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার টাকা এবং উন্নয়ন খাতে ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ কম হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে স্পিকার বলেন, চলতি বছরে বরাদ্দ ছিলো ২১৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে সংসদের ডাটা সেন্টার নির্মানের জন্য নয় কোটি টাকা বরাদ্দ ছিলো। যা আগামী অর্থ বছরে আর প্রয়োজন নেই। এ জন্য বরাদ্দ কিছুটা কমেছে। এছাড়া বিভিন্ন খাতে ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এবং চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ।
উল্লেখ্য, সংসদ সচিবালয়ের বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারির সংখ্যা নির্ধারণ ও হ্রাস-বৃদ্ধি, পদ সৃষ্টি বা বিলোপ, নতুন নিয়োগ ও বদলি, যানবাহন এবং অন্যান্য সম্পদ বৃদ্ধিসহ জাতীয় সংসদের সার্বিক উন্নয়নে পরামর্শমূলক দায়িত্ব পালন করে সংসদ কমিশন। ১৯৯৪ সালে পাসকৃত জাতীয় সংসদ সচিবালয় কমিশন আইন অনুসারে ৫ সদস্যের এই কমিশনের সভাপতি জাতীয় সংসদের স্পিকার। আর সংসদ নেতা, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী এই কমিটির সদস্য। এছাড়া আলোচনার সুবিধার্থে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়। সংসদ কমিশন গঠনের পর থেকে বিভিন্ন ইস্যুতে বছরের বিভিন্ন সময়ে কমিশনের বৈঠক হলেও সাধারণত বাজেটকে সামনে রেখেই এই বৈঠক ডাকা হয়। সর্বশেষ গত বছর পহেলা জুন সংসদ কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।