সিটিনিউজবিডি : দেশের সবচেয়ে পুরনো ও বড় গ্যাসক্ষেত্রে তিতাসে নতুন গ্যাস স্তরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ওই গ্যাসক্ষেত্রটিতে নতুন করে খনন করা তিনটি কূপ গ্যাসের ওই নতুন স্তরের সন্ধান দিয়েছে। স্তরগুলোতে গ্যাসের চাপও ভালো।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির (বাপেক্স) তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে পরিচালিত ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে ওই স্তরগুলো চিহ্নিত করা হয়েছিল। সে অনুযায়ীই কূপ খননের স্থানও নির্ধারণ করা হয়। ওই ত্রিমাত্রিক জরিপের ফলাফলে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে আরো গভীরে নতুন নতুন স্তরে গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা আছে সংশ্লিষ্টরা জানান। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে বর্তমানে ২২টি কূপ চালু আছে। তাতে প্রতিদিন ৫২ কোটি (৫২০ মিলিয়ন) ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। ইতিমধ্যে নতুন তিনটি কূপ খননও শেষ হয়েছে। আরও একটির খননকাজ শুরু হচ্ছে। ওগুলো চালু হলে ওই গ্যাসক্ষেত্র থেকে প্রতিদিন ৬০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত গ্যাস পাওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি ভোলার শাহবাজপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপ সংস্কার (ওয়ার্কওভার) করেও আশা-জাগানিয়া ফল পাওয়া গেছে। ইতিপূর্বে রাশিয়ার কোম্পানি গ্যাজপ্রম ওই কূপটি খনন করেছিল। কিন্তু কোনো সমস্যার কারণে গ্যাসের আশাব্যঞ্জক প্রবাহ হচ্ছিল না। পরে বাপেক্স ওয়ার্কওভার করলে গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায়।
এদিকে এ প্রসঙ্গে তিতাস গ্যাসক্ষেত্রের পরিচালক সংস্থা বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, নতুন স্তরগুলো থেকে কূপ বন্ধ রাখা অবস্থায়ও ৩ হাজার ৭০০ থেকে ৩ হাজার ৮০০ পিএসআই (পাউন্ড পার স্কয়ার ইঞ্চি) গ্যাসের চাপ পাওয়া যাচ্ছে। যাা আশাব্যঞ্জক। কারণ তিতাসের অন্যান্য কূপে এখন গ্যাসের চাপ ১ হাজার ৯০০ থেকে ২ হাজার ১০০ পিএসআইতে নেমে গেছে। অন্যদিকে পুরনো গ্যাসক্ষেত্রে নতুন স্তরের গ্যাস পাওয়া প্রসঙ্গে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতিকুজ্জামান জানান, কূপটিতে গ্যাসের যে চাপ পাওয়া গেছে তাতে তা থেকে প্রতিদিন আড়াই থেকে তিন কোটি ঘনফুট গ্যাস তোলা সম্ভব হতে পারে।