নাসা সন্ধান পেল নতুন পৃথিবীর

0

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা-নাসার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই গ্রহটি পৃথিবীর মতোই একটি তারাকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে। নাসার দাবি, তারার থেকে ওই গ্রহের যা দূরত্ব, তাতে তরল জল থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

নাসার প্রধান বিজ্ঞানী জন গ্রান্সফেল্ড বলেছেন, এই নতুন ওয়ার্ল্ড পৃথিবীর অত্যন্ত কাছাকাছি (“closest so far” to Earth) বৈশিষ্টের অধিকারী।

আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত নাসার অ্যামিস রিসার্স সেন্টারের ডাটা অ্যানালিস্ট জন জেনকিন্স বলেছেন, “আজ এ ধরনের একটি খবর দিতে পারাটা আমার জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের”।56738_1

বিজ্ঞানীদের মতে, ওই নতুন গ্রহটির চরিত্রগত বৈশিষ্ঠ্যও পৃথিবীর মতোই পাথুরে। পৃথিবীর বাইরে অন্য গ্রহে প্রাণের খোঁজে যে নিরন্তর প্রচেষ্টা চলছে, এই গ্রহের আবিষ্কার সেই দিক থেকে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা।

স্থানীয় সময়ে বৃহস্পতিবার (ভারতীয় সময় মধ্যরাত বা শুক্রবার ভোর) সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নতুন গ্রহ (জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরিভাষায় এক্সো-প্ল্যানেট) সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে নাসা।

জানা গিয়েছে, এই গ্রহের সন্ধানে ব্যবহার করা হয়েছে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ যা ২০০৯ সালে মহাকাশে নিক্ষেপ করে নাসা এবং মহাশূন্যে গবেষণায় কাজে লাগিয়ে আসছে এটিকে।

এই টেলিস্কোপের প্রধান কাজ হল মহাকাশে এমন গ্রহের খোঁজ চালানো, যেগুলি তাদের নিজস্ব তারা থেকে এমন দূরত্বে রয়েছে, যতটা দূরত্ব পৃথিবী ও সূর্যের মধ্যে রয়েছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পরিভাষায় এই দূরত্বকে বলা হয় ‘গোল্ডিলক জোন’। মূলত, এই অঞ্চলে থাকা গ্রহগুলিতে প্রাণের উৎস মেলার সম্ভাবনা প্রবল বলে বিশ্বাস করেন বিজ্ঞানীরা।

গত ৬ বছর ধরে মহাকাশে নিরন্তর এক্সো-প্ল্যানেটের খোঁজ চালাচ্ছে কেপলার। প্রায় ১ লক্ষ তারাকে টার্গেট করে তাদের চারদিকে ঘোরা বিভিন্ন গ্রহকে পরীক্ষা করেছে কেপলার। এখনও পর্যন্ত গোল্ডিলক জোনে থাকা প্রায় এক হাজার গ্রহের সন্ধান দিয়েছে এই উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন টেলিস্কোপ। কিন্তু, অধিকাংশই গ্যাসে ভরা আর তাদের আয়তন প্রায় বৃহস্পতির সমান। মাত্র আটটি গ্রহ পৃথিবীর আয়তনের দ্বিগুণ।

তবে, নতুন আবিষ্কৃত গ্রহের বিষয়ে উচ্ছ্বসিত নাসা। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছে, হয়ত এক বিরাট মাপের আবিষ্কারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছি। কয়েক হাজার বছর ধরে আমরা সকলে ভিনগ্রহে প্রাণী সম্বন্ধে বহু স্বপ্ন দেখে এসেছি, বহু রূপকথা শুনে এসেছি। এখন সেই সব কল্পনা কি সত্যি হতে চলেছে!

সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল, গ্রহটির পৃষ্ঠের যা তাপমাত্রা, তাতে নাকি সেই গ্রহে পানিও থাকতে পারে। তবে, এ ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু বলা হয়নি নাসার পক্ষ থেকে। খুব শীঘ্রই এ ব্যাপারে টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি পরিস্কার করবেন নাসার মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা।

কিছুদিন আগেই বামন গ্রহ প্লুটোয় বরফের পাহাড়ের ছবি প্রকাশ করে সারা পৃথিবীকে চমকে দিয়েছে নাসা। এবার কি তারা খবর দিতে পারবে নতুন কোন পৃথিবী সম্পর্কে? অপেক্ষা বিশ্ববাসীর।

 

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.