প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার চট্টগাম আসছেন

0

গোলাম সরওয়ার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার (১২মার্চ) চট্টগাম আসছেন । রোববার‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ প্রকল্প ও সাবমেরিন ‘নবযাত্রা আর জয়যাত্রা’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরায় কর্ণফুলী নদীর তীরে সাড়ে ৩৫ একর জমির ওপর ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ প্রকল্পটি নির্মান করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা বোট ক্লাবে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি এ প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করবেন।

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন ‘চট্টগ্রাম বহদ্দারহাট থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গুনিয়ার পোমরায় কর্ণফুলী নদীর তীরে সাড়ে ৩৫ একর জমির ওপর এই পানি শোধনাগার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। গত বছর ১ নভেম্বর থেকে প্রকল্পে পরীক্ষামূলক পানি উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করা হয়।

‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ প্রকল্প
‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ প্রকল্প । ছবি- মো; হানিফ

‘তবে ১৯ জানুয়ারি পানি শোধনাগার প্রকল্পটি ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার’ নামকরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। আর এ প্রকল্প উদ্বোধন করতে নিজেই আসছেন প্রধানমন্ত্রী।’

১২ মার্চ বিকাল তিনটায় বোট ক্লাবে আনুষ্ঠানিকভাবে এ শোধনাগার প্রকল্প উদ্বোধন করবেন তিনি। সেই সাথে দ্বিতীয় ফেজের আরেকটি পানি শোধনাগার প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজেরও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার যৌথ অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১ হাজার ৮৪৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা। প্রকল্পে দৈনিক ১৪ কোটি লিটারেরও বেশি পানি উৎপাদন হচ্ছে। এর আগে চট্টগ্রাম ওয়াসার পানি উৎপাদনের ক্ষমতা ছিল সর্বোচ্চ ১৮ কোটি লিটার। এ প্রকল্প চালু হওয়ায় দৈনিক পানি উৎপাদন ক্ষমতা ৩২ কোটি লিটারে পৌঁছেছে। এতে পানি সংকটে নাভিশ্বাস উঠা চট্টগ্রামবাসীর পানি সংকট দূর হয়েছে অনেকাংশে। দ্বিতীয় ফেজের প্রকল্পটিও হচ্ছে সমমানের।

এদিকে সাবমেরিনের কমিশনিং অনুষ্ঠানে সকাল ১১টায় বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবমেরিন ‘নবযাত্রা আর জয়যাত্রা’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবমেরিন
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবমেরিন। ছবি-সংগৃহিত

২০১৬ সালের ১৪ নভেম্বর সাবমেরিন দুটি চীনের দালিয়ান প্রদেশের লিয়াওয়ান শিপইয়ার্ডে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর ২২ ডিসেম্বর সাবমেরিন দুটি বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয় চীন ও বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ও নাবিকদের তত্ত্বাবধানে। এর আগে অবশ্য সী ট্রায়াল সম্পন্ন হয়।

আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, সাবমেরিন দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার ও প্রস্থ ৭ দশমিক ৬ মিটার। সাবমেরিনগুলো টর্পেডো ও মাইন দ্বারা সুসজ্জিত যা শত্রুপক্ষের যুদ্ধজাহাজ ও ডুবো জাহাজে আক্রমণ চালাতে সক্ষম। পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে এগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় সামনের দিকে ১২ এবং পেছনের দিকে ১১ নটিক্যাল মাইল।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.