প্রবল বর্ষণে ফের পাহাড় ধসের আশঙ্কা

0

নিজস্ব প্রতিবেদক::চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম ও সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল বর্ষণ হতে পারে। অতি বর্ষণে আবারও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এদিকে, আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়সমূহে বসবাসকারী লোকজনকে সরে যাওয়ার জন্য প্রতিদিন মাইকিং করা হচ্ছে।

আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান রবিবার  বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে আগামী ৬/৭ জুলাই পর্যন্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তবে টানা বৃষ্টি হবে এমন নয়।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী জানান, ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের পাহাড় থেকে সরিয়ে পুনর্বাসনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি, সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গসহ সকল পর্যায়ের লোকজনের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে উদ্বুদ্ধকরণের কাজ চলছে। সম্প্রতি তিন পার্বত্য জেলায় ব্যাপক পাহাড় ধসের ঘটনায় সৃষ্ট পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে আগামীকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে সরকার উচ্চ পর্যায়ের সেমিনারের আয়োজন করেছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, চট্টগ্রামের পাহাড়গুলোতে বালুর আধিক্য থাকায় বন-জঙ্গলবিহীন কাটা পাহাড়ের মধ্যে পানি সহজে প্রবেশ করতে পারে। পানি ঢুকে বালুর লুজ বন্ডিংয়ের কারণে পাহাড় ধসের আশংকা বেড়ে যায়। ২০০৭ সালের ১১ জুন চট্টগ্রামে প্রবল বর্ষণের ফলে ১২৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। সম্প্রতি তিন পার্বত্য জেলাসহ চট্টগ্রামে ব্যাপক পাহাড় ধসের ঘটনায় দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হন।  পাহাড় ধসের পর রাঙ্গামাটির সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ এখনও সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। ২০০৭ ও ২০১৭ সালের এ দু’টি বিপর্যয়ের মূল কারণ হচ্ছে অতিবর্ষণ, পাহাড় কাটা এবং পাহাড়ে গড়ে উঠা ঘর-বাড়ি। ২০০৭ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীতে পাহাড় ও ভূমি ধসের পর উচ্চ পর্যায়ের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি পাহাড় ধস রোধে ৩৬ দফা সুপারিশমালা পেশ করে। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছরেও তার ন্যূনতম বাস্তবায়ন হয়নি।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.