বানের পানিতে চকরিয়ায় শত শত পরিবার পানিবন্দী
বশির আলমামুন,চকরিয়া : ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে চকরিয়ার খুটাখালীর ছড়ার বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকা ২/৩ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
খুটাখালী ছড়া দিয়ে ধারন ক্ষমতার অতিরিক্ত পানি প্রবাহিত হওয়ায় মঙ্গলবার (৪জুলাই) বেড়িবাঁধের পূর্বপাড়া ও হাফেজখানা সংলগ্ন বিশাল একটি অংশ পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গে গেছে। ভাঙ্গন এলাকা দিয়ে ছড়ার বন্যার পানি অনুপ্রবেশ করায় ৬নংওয়ার্ডের পিয়াজ্জ্যাকাটা, হরই খোলা, পূর্বপাড়া, অফিসপাড়া, নাপিতপাড়া, চড়িবিল, দরগাহপাড়া, কিশলয় স্কুল,ফরেষ্ট অফিস, ৫নং ওয়ার্ড়ের মাইজপাড়া, হাফেজখানা, দক্ষিন পাড়া, খুটাখালী উচ্চ বিদ্যালয়, ৭নং ওয়ার্ড়ের জলদাশ পাড়া, উত্তর ফুলছড়ি এলাকার শত শত ঘরবাড়ী পানির নিচে তলিয়ে যায়।
চুলায় আগুন জ্বালাতে না পেরে পানির নিচে তলিয়ে যাওয়া বসতবাড়ীর লোকজন বর্তমানে তীব্র খাদ্য ও পানীয় জলের সংকটে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুর রহমান। মহাসড়কের গ্রামীন ব্যাংক পয়েন্ট দিয়ে বন্যার পানি প্রবাহিত হওয়ার কারণে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলে চরম বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
৬নং ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোসেন জানান, পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেছে পিয়াজ্জ্রাকাটা,অফিস পাড়া, পুর্বপাড়া এলাকায় অনেকের বসত বাড়ি ও সীমানা প্রাচীরের দেয়াল এবং ভেসে গেছে বহু হাঁস-মুরগীসহ গৃহস্থালী সামগ্রী। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে জরুরী ভিত্তিতে ত্রাণ তৎপরতা শুরুর দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
অপরদিকে মেধাকচ্ছপিয়ার পাগলিরবিলে পাহাড়ী ঢলের পানিতে তলিয়ে গেছে বলে জানালেন ১নং ওয়ার্ড় আওয়ামীলীগ সভাপতি জিল্লুর রহমান। বেড়িবাধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে ওই এলাকার কয়েক হাজার মানুষ কার্যত পানিবন্দী অবস্থায় জীবন যাপন করছেন। এলাকাবাসী অতিদ্রুত বেড়িবাধের ক্ষতিগ্রস্থ অংশটি মেরামত করার জন্য সংশিষ্ঠ কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবী জানান