যোগাযোগ মাধ্যম নিরাপদ থাকতে যা করণীয়

0

অনলাইন ডেস্ক : ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সবার মনে নিরাপত্তার বিষয়টি বার বার ঘুরপাক খায়। সবসময়ই মনে হয় আমার ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাবে না তো?

আসলে আমরা যে মাধ্যম থেকেই সেবা গ্রহণ করিনা কেন, সব মাধ্যমই আমাদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে চেষ্টা করে। প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠান চায় তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য যেন নিরাপদ থাকে। তারপরও বিষয়টি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আসুন দেখে নিই কয়েকটি ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিভাবে সতর্ক থাকা যায়-

টুইটার: টুইটার অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে আপনি প্রায়ই পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার পরিবর্তে লগইন ভেরিফিকেশন ফিচারটি ব্যবহার করতে পারেন। সেজন্য কম্পিউটার থেকে টুইটার আইডিতে লগইন করে নিজের প্রোফাইলে যেতে হবে। তারপর সেটিংস থেকে প্রাইভেসি সেটিংসে গিয়ে এটা চালু করা যাবে। ভেরিফিকেশন ফিচারটির ব্যবহার শুরু করার আগে অবশ্যই নিজের ই-মেইল আইডি নিশ্চিত করতে হবে।

ফেসবুক: ফেসবুকেও লগইন ভেরিফিকেশন ফিচারটি রয়েছে। এছাড়াও এতে আরও বেশ কয়েকটি ফিচার রয়েছে যেগুলো অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে সহায়তা করে। এর মধ্যে একটি হলো ট্রাস্টেড কন্টাক্টস। সিকিউরিটি সেটিংস পেজে গিয়ে আপনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার পাবেন। ফিচারটির নাম- where you’ve logged in

ধরা যাক, আপনি কোনও বন্ধুর বাসায় গিয়ে সেখানে ফেসবুক ব্যবহার করার পর লগ-আউট না করেই চলে এসেছেন। এ অবস্থায় এই ফিচারটি আপনাকে সেই ডিভাইস থেকে লগ-আউট করতে সহায়তা করবে।

হোয়াটসঅ্যাপ: ব্যবহারকারীদের চ্যাটিংয়ের নিরাপত্তার জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ইতিমধ্যে এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন চালু করেছে। এই ফিচারটির কারণে অন্যকেউ এমনকি হোয়াটসঅ্যাপের কর্মকর্তারাও আপনার চ্যাট পড়তে পারবে না।

তারপরও একটা সমস্যা থেকেই যায়। সেটা হলো- ফোন চুরি হয়ে যাওয়া। কারও ফোন যদি চুরি হয়ে যায় তাহলে চোর তার সব তথ্যে প্রবেশ করতে পারবে। এসব তথ্যের মধ্যে ফটো, ভিডিও, ব্যক্তিগত তথ্য কিংবা মেসেজ থাকতে পারে। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হোয়াটসঅ্যাপকে পিন-লক দিয়ে রাখতে হবে। এজন্য প্রয়োজন হবে থার্ড-পার্টি অ্যাপসের। তবে যদি হোয়াটসঅ্যাপে পিন-লক দেওয়া ছাড়া কোনও ফোন হারিয়ে যায় বা চুরি হয়ে যায় তবে দ্রুত নতুন একটি সিম নিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে রেজিস্টার করতে হবে। তাহলে পুরনো আইডি অকার্যকর হয়ে যাবে।

জিমেইল: গুগলের নিজস্ব টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ফিচারের সাহায্যে আপনি জিমেইল অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে পারবেন। কখনও যদি মনে হয় আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টে অন্য কেউ প্রবেশ করেছে তবে আপনার অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভিটি চেক করতে হবে। এজন্য ইনবক্সের একেবারে নিচে ডান কোনায় Last account activity নামে একটি অপশন পাবেন। সেখানে গিয়ে আপনি এটা চেক করতে পারবেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.