সিটি বিনোদন : ম্যাগি-বিতর্কে অমিতাভ-মাধুরী-প্রীতির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিল ভারতের একটি আদালত। প্রয়োজনে তাঁদের গ্রেফতারেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই তিন জনসহ নেসলের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও এফআইআর-এর নির্দেশ দিয়েছে বিহারের এক জেলা আদালত।
মঙ্গলবার মুজফ্ফরপুরের কাজি মহম্মদপুর থানাকে এই মর্মে নির্দেশ দেন জেলার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট রামচন্দ্র প্রসাদ। অমিতাভ-মাধুরী-প্রীতি এবং ওই দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ মোট ছ’টি ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, দায়ের করা এফআইআর এর ভিত্তিতে ওই পাঁচ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। সোমবার আইনজীবী সুধীরকুমার ওঝার দায়ের করা মামলার শুনানির পর এই রায় দেন আদালত।
আবেদনে ওই তিন তারকা ছাড়াও নেসলে সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহন গুপ্ত-সহ যুগ্ম অধিকর্তা শবাব আলমের নাম রয়েছে। অমিতাভ বচ্চন, মাধুরী দীক্ষিত ও প্রীতি জিনতাকে বিভিন্ন সময়ে ম্যাগির বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছে।
মামলায় শুনানির সময় অভিযোগকারীর দাবি করেন, ম্যাগি খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। গত ৩০ মে মুজফ্ফরপুরের লেনিন চকের এক দোকান থেকে ওই ম্যাগির প্যাকেটটি কিনেছিলেন তিনি। এর পর তিনি ম্যাগি প্রস্ততকারক সংস্থা নেসলের বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। অমিতাভ-মাধুরী-প্রীতি ম্যাগির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও বটে।
লেনিন চকের ওই দোকানটি কাজি মহম্মদপুর থানা এলাকারা। ফলে ওই থানাকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন আদালত। মামলার শুনানি পর আইনজীবী সুধীরকুমার অভিযোগ করেন, “জেনেবুঝেই দেশ জুড়ে ম্যাগির প্রচার করছে নেসলে।”
অমিতাভ-মাধুরী-প্রীতিকে এই মামলায় কেন জড়ানো হল তা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। অনেকের মতে, ম্যাগির বিজ্ঞাপনে মুখ দেখিয়ে তার প্রচার-প্রসারে সাহায্য করেছেন ওই তারকারা।
মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে কী শাস্তি হতে পারে? মঙ্গলবার আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “ধারাগুলির মধ্যে ৪২০ ধারাও রয়েছে। ওই ধারায় অভিযোগ প্রমাণিত এবং অপরাধী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাবাস ও জরিমানা হতে পারে।” আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রতিটি ধারাই জামিনঅযোগ্য। সূত্র: আনন্দবাজার