মক্কায় পবিত্র শব-ই কদরের রাতে ২০ লাখ মুসল্লির সমবেত

0

 সিটিনিউজবিডি  :   শব-ই কদরের রাতে মক্কার বিখ্যাত মসজিদ আল হারামে ২০ লাখেরও বেশি মুসল্লি সমবেত হয়েছিলেন। এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম আরব নিউজ।

মসজিদ আল হারামে ২৭ রমজানের রাতে প্রায় ২০ লাখের বেশি মানুষ এশা এবং তারাবীর নামাজ আদায় করেছেন। সেসময় মসজিদে অত্যন্ত আধ্যাত্মিক পরিবেশ বিরাজ করছিল।

এর আগে পবিত্র রাতকে কেন্দ্র করে দুই পবিত্র মসজিদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদশাহ সালমান। এছাড়া আল্লাহ তা’লার অতিথিদের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা ও আরামের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছিলেন তিনি।

মুসলমানরা ২৬ রমজান দিবাগত রাত অর্থাৎ ২৭ রমজানকে লাইলাতুল কদর হিসেবে বিবেচনা করে। কারন এই রাত সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। এ রাতে তারা কামনা করে যেন তাদের সকল গুনাহ মাফ করে তাদের জন্য মহান আল্লাহ জান্নাতের দ্বার খুলে দেন।

দেশটির সরকার প্রধান প্রিন্স খালেদ আল ফায়সাল বলেছেন, মসজিদ আল হারামে আসা দর্শনার্থীদের সেবা করা অনেক সৌভাগ্যের বিষয়। এ জন্য মসজিদে আসা প্রার্থনাকারীদের আরাম ও সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের জন্য মসজিদে নিয়োজিত সব কর্মীরা ক্লান্তহীনভাবে কাজ করে চলে।

এ ব্যাপারে দর্শনার্থীরাও একই মতামত প্রকাশ করেছেন। মুহাম্মদ আল ওমরাহ পালন করতে আসা মুতাসিম নামে ৫৪ বছর বয়সী সৌদির এক নাগরিক জানিয়েছেন, অনেক বেশি দর্শনার্থী থাকা স্বত্তেও তিনি খুব সহজ ও আরামদায়কভাবেই ধর্মীয় অনুষ্ঠানটি পালন করতে পেরেছেন।

মোহামেদ রহমান নামে ৩৪ বছর বয়সী এক ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক জানিয়েছেন, এয়ারপোর্টে নামার পর থেকে মসজিদ আল হারামে পৌছানো পর্যন্ত তারা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হননি। তিনি আরব নিউজকে বলেছেন, ‘‘পুরো সময়টা আমি আমার পরিবার, সন্তান এবং সব মুসলিমদের জন্য প্রার্থনা করেছি।’’

অপরদিকে পবিত্র দুই মসজিদের প্রধান ব্যবস্থাপক আব্দুল রহমান জানিয়েছেন, দর্শনার্থীদের সেবা নিশ্চিত করতে ১২ হাজারের বেশি পুরুষ ও মহিলা সাহায্যকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

এছাড়া কর্তৃপক্ষ মসজিদের ভেতর নামায আদায়ের জন্য ১৭ হাজারের বেশি কার্পেট বিছানো হয়েছিল। লাগেজ এবং ব্যাগের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য সেফটি লকারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। এছাড়া গরম ঠেকাতে এয়ার কন্ডিশন, ভেন্টিলেশন এবং ২৫০ টি ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

এছাড়া মক্কার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, দর্শনার্থীদের স্বাস্থ্যের বিষয়টি মাথায় রেখে মসজিদের ভেতরে দুটি অস্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া পৌরসভার ১২০০০ হাজারের বেশি পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৭শ ৭৬ টি পরিস্কার সরঞ্জাম নিয়ে মসজিদের ভেতর কাজ করেছেন বলে জানা গেছে।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.