সিটিনিউজবিডিঃ নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার পরেও ইনজুরি টাইম দেওয়া হয় ২ মিনিট, সেটাও প্রায় শেষ। স্কোর বোর্ডের অবস্থা ব্রাজিল ১ পেরু ১। ম্যাচ ড্র হচ্ছে মনে করে মাঠে উপস্থিত দর্শকরা আসন ছেড়ে উঠতে শুরু করেছেন, আর ঠিক এমন সময় আক্রমণে যায় ব্রাজিল। নেইমার দ্য সিলভা বল নিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েন। পেরুর ছয়জন রক্ষণভাগের খেলোয়াড়কে ফাঁকি দিয়ে বল পৌঁছে দেন গোলপোস্টের বাঁ দিকে দাঁড়ানো ডগলাস কস্টার কাছে।
বদলি খেলোয়াড় ডগলাসকে বল পেতে দেখে গোলপোস্টের ডান দিক থেকে বাঁ দিকে ছুটে আসেন পেরুর গোলরক্ষক পেদ্রো গালেসি। মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ডগলাসের শট রুখতে চেয়েছিলেন তিনি। সেটা বুঝতে পেরে ডগলাস তার শরীরের ওপর দিয়ে ‘ইস্কুইজিং’ করে বল জালে জড়িয়ে দেন। উল্লাসে ফেটে পড়ে গোটা স্টেডিয়াম। পেরুকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোপা আমেরিকা মিশনে উড়ন্ত সূচনা করেছে কার্লোস দুঙ্গার দল। পাশাপাশি টানা ১১তম জয় তুলে নিয়েছে তারা।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এগিয়ে যাওয়ার মতো করে শুরুতেই পিছিয়ে পড়েছিল সেলেকাওরা। কিক অফের পর ম্যাচের বয়স তখন মাত্র ৩ মিনিট। পাল্টা-আক্রমণে বল নিয়ে ডি বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়ে পেরুর খেলোয়াড়রা। ডেভিড লুইস বল ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি। অবস্থা বেগতিক মনে করে গোলরক্ষক জেফারসন বল সামনে বাড়িয়ে দেন। সেটা সুবিধামতো পেয়ে যান পেরুর মিডফিল্ডার ক্রিস্টিয়ান কুয়েভাস। তার জোরালো শট জালে আশ্রয় নেয় (১-০)। লুইস তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেন। আর জেফারসন চেষ্টা করেও বলটি আটকাতে ব্যর্থ হন। তবে বেশিক্ষণ এগিয়ে থাকতে পারেনি তারা। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে দানি আলভেসের দেওয়া বলে হেড দিয়ে জালে জড়ান নেইমার (১-১)।
এরপর আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণের মধ্য দিয়ে ম্যাচ এগিয়ে যায়। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। ১ গোলের সমতা নিয়েই বিশ্রামে যায় উভয় দল। বিরতির পর ব্যবধান বাড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে উভয় দল। আক্রমণের পসরা সাজিয়ে বসে। ৫৩ মিনিটে নেইমারের অসাধারণ একটি শট বার কাঁপিয়ে ফিরে আসে। এভাবেই চলে গোল মিসের মহড়া। শেষ পর্যন্ত অন্তিম মুহূর্তে দিয়েগো তারদেল্লির বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নামা ডগলাস কস্টার গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল। তবে পুরো ম্যাচে নেইমারের পায়ের কারসাজি উপভোগ করেছে দর্শকরা। সুযোগ পেলেই তিনি ড্রিবলিং আর কৌশল দিয়ে বোকা বানিয়েছেন পেরুর খেলোয়াড়দের, যা সত্যিই উপভোগ্য ছিল।