জাফর ইকবালের ওপর হামলা: ফয়জুল ১০ দিনের রিমান্ডে

0

সিটিনিউজ ডেস্ক:: বরেণ্য শিক্ষাবিদ মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যার জন্য ছুরি নিয়ে হামলাকারী ফয়জুল হাসানকে ১০ দিনের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। হামলার পাঁচ দিন পর সিলেটের একটি আদালতে হাজির করা হয় তাকে।

গত ৩ মার্চ সিলেটের শাজহালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর ছুরি হাতে ফয়জুলকে আটক করে শিক্ষার্থীরা। তাকে সেখানে পিটুনিও দেয়া হয়। পরে র‌্যাব তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

সেখানে চিকিৎসা শেষে ফয়জুলকে রাতে নেয়া হয় জালালাবাদ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে। পরদিন র‌্যাব-৯ ফয়জুলকে পুলিশে হস্তান্তর করে। আর বাহিনীটির তত্ত্বাবধানেই তার চিকিৎসা চলছিল।

বৃহস্পতিবার বেলা একটা ১০ মিনিটের দিকে ফয়জুলকে হাসপাতাল থেকে সিলেট মহানগর হাকিম তৃতীয় আদাতের বিচার হরিদাস কুমারের আদালতে নেয়া হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করে পুলিশ।

শুনানিতে ফয়জুলের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। আর পুলিশের যা আবেদন করেছে, সেটা রেখেছেন বিচারক।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ফয়জুলকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেছিলাম। মাননীয় আদালত আমাদের সে আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’

জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ওই রাতেই শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইশফাকুল হোসেন জালালাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরদিন রবিবার দুপরে সেটি মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। এই মামলায় ফয়জুলকে অজ্ঞাত যুবক উল্লেখ করে তাকেই আসামি করা হয়েছে।

ফয়জুলের পাশাপাশি সিলেট থেকে আটক তার বাবা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম এবং মামা ফজলুর রহমান ফজলু এখনও পুলিশের হেফাজতে আছেন। তবে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি।

ফয়জুলের গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে গ্রামের বাড়ি থেকে আটক আবুল কাহার লুলইকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।

ফয়জুলকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে সিলেটের পুলিশ কর্মকর্তারা মুখ খুলছেন না। তবে র‌্যাব জানিয়েছে, ফয়জুল উগ্রবাদে দীক্ষিত হয়ে জাফর ইকবালকে হত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জাফর ইকবাল এরই মধ্যে অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন। বুধবার তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং তিনি লেখালেখি শুরু করেছেন।

এ বিভাগের আরও খবর

আপনার মতামত লিখুন :

Your email address will not be published.